যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মুজিবুর অপহরণ অভিযোগের তীর র্যাবের দিকে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান অপহরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে র্যাবের বিরুদ্ধে। মুজিবুরের পরিবারের পক্ষ থেকে এমন আভাসই দেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন মাস অপহৃত থাকার পর গত সোমববার (১৮ আগষ্ট) রাতে অপহরণকারীরা মুজিবুর রহমানকে তার ড্রাইভার রেজাউলসহ গাজীপুরের টঙ্গীতে ছেড়ে দেয়। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। ড্রাইভার রেজাউল সিলেট যাওয়ার পথে আবারও নিখোঁজ হয়েছেন।
গত ৪ মে হত্যা-গুম এর প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে আয়োজিত একটি সমাবেশে যোগদান শেষে সিলেট যাওয়ার পথে মুজিবুর রহমান ও তার গাড়ির চালককে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। সোমবার রাতে ড্রাইভারসহ তাকে ছেড়ে দেওয়া হলে তিনি একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্্রা নিয়ে শ্যালক আনোয়ার হোসেনের গুলশানের বাসায় এলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মুজিবুর রহমান যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য।
আনোয়ার হোসেন মঙ্গলবার রাতে প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ মুজিবুর রহমানকে অপহরণকারীরা সাড়ে তিনমাস আটকে রেখেছিল, এটা কি আপনাদের কোন সন্ত্রসী বাহিনীর কাজ মনে হয়। এই অপহরণের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিকের অপহরণের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে।’
আনোয়ার হোসেন প্রশ্ন করে বলেন, ‘এই সাড়ে তিনমাস আটকে রেখে অপহরণকারীরা বার বার তারেক রহমান সম্পর্কে নানা বিষয় জানতে চেয়েছে। এটা কারা করবে, কাদের প্রতিপক্ষ তারেক রহমান?’
তিনি আরো বলেন, ‘যিনি অপহৃত হয়েছিলেন, তিনি যুক্তরাজ্য ও সুনামগঞ্জ বিএনপির নেতা। এটাই ছিল তার অপরাধ। হত্যা-গুমের প্রতিবাদ করতে যাওয়াটা ছিল তার আর একটি অপরাধ! এছাড়া তো আর কিছু দেখছি না আমরা।’ সাড়ে তিনমাস ধরে অপহরণ করে আটকে রাখা, এটা বিশ্লেষন করলে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) নামই চলে আসে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এবিষয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচারক কর্নেল জিয়াউল আহসান প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, ‘র্যাবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অমুলক। আমরা যতটুকু জেনেছি, মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোন অভিযোগ নেই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে র্যাব কেন তাকে অপহরণ করবে, কেনইবা সাড়ে তিন মাস আটকে রাখবে? এর পেছনে পারিবারিক বা ব্যবসায়িক কোন ঘটনা থাকতে পারে।’
কর্নেল জিয়া বলেন, ‘মুজিবুর রহমান সুস্থ হলে তাকে সিলেট আদালতে তুলে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তা মাঠে নামবেন। আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছি।’