৭ খুনের মামলায় হাজিরা শেষে র্যাবের কর্মকর্তাসহ ১৫ জন কারাগারে
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় আদালতে হাজিরা শেষে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কে.এম মহিউদ্দিন এ আদেশ দেন। এ আগে সকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের নারায়নগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান জানান, আদালত র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম.এম রানাসহ ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত ১৩ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেছেন। ওই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন বলে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন।
এর আগে ৩০ জুন আদালত শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেছিলেন। সে অনুযায়ী তাদের আজ আদালতে আনা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে অপহরণ করা হয়। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও পরের দিন আর একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ফতুল্লা মডেল থানায় কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল হত্যার ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় আর একটি মামলা করেন।
৭ খুনের এই মামলায় র্যাব- ১১’র সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, আরিফ হোসেন ও এম.এম রানা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়াও র্যাব-১১র ছয় সদস্য অপহরণ ও খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।