শিগগিরই ৭ খুনের তদন্ত প্রতিবেদন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : নারায়নগঞ্জে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ খুনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশে জণপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রধান শাহজাহান আলী মোল্লা।
বৃহস্পতিবারে রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউসে আলোচিত ৭ খুনের ঘটনায় র্যাব-১১’র দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত র্যাব-১১’র মেজর সুরুজ মিয়া ও ল্যান্স নায়েক আবদুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি। আজ তদন্ত কমিটির কাছে চার সদস্যের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও সিপাহি আলী আযম ও মেজর আরিফ হোসেনের গাড়িচালক নায়েক দেলোয়ার হোসেন অনুপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘তদন্ত প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
শাহজাহান আলী মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘র্যাবের দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা ঘটনা সম্পর্কে কী জানেন, অন্য সাক্ষীদের সম্পর্কে কী জানেন, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে নোটিশ করার কারণেই র্যাবের অন্য দুই সদস্য আসতে পারেননি। তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।’
গত ২৭ এপ্রিল নারায়নগঞ্জে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ লিংক রোড থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে নাসিক প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং এাডভোকেট চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল নারায়নগঞ্জের শীতালক্ষা নদীতে নজরুল ও চন্দন সরকারসহ অপহৃত ৬ জনের এবং এর একদিন পর ১ মে বাকি ১ জনের লাশ ভেসে ওঠে।
চাঞ্চল্যকর এই ৭ খুনের মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেন এসময় ভারতে পালিয়ে যায়। গত ১৪ জুন দুই সহযোগীসহ নুর হোসেনকে কলকাতা পুলিশের একটি দল দমদম বিমানবন্দরের পাশের একটি ফ্ল্যাট থেকে আটক করে।
৭ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত র্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ, মেজর আরিফ হোসেন ও নারায়নগঞ্জের সাবেক ক্যাম্প প্রধন লে. কমান্ডার এম এম রানা বর্তমানে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন। তারা সকলেই ৭ খুনের এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।