দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সোচনীয় পরাজয়
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : গ্রেনাডায় বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪৮ রানের। উইকেট প্রথম ওয়ানডের তুলনায় চিল খুবই সহজ। প্রয়োজন ছিল একটু ধোর্য্য মনোযোগের। তসবাই কেন যেন তার উল্টোটাই করলেন। কেউ যেন কোন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারলেন না। আর সে কারনেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ওয়েষ্টইন্ডিজের কাছে বাংলাদেশের শুধুই পরাজয় বললে ভুল হবে, শোচনীয় পরাজয়।
লক্ষ্য ২৪৮ রান। এই ম্যাচ বাংলাদেশ দল একটু চেষ্টা করলেই জিততে পারত। কোনো কারণে সেটা না পারলেও অন্তত কাছাকাছি তো যাবে! অথচ ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কারণে হলো উল্টো। আগের ম্যাচে তবু এনামুলের সেঞ্চুরির জন্যে কম রানে অলআউটের লজ্জা থেকে বাঁচা গিয়েছিল। কাল সেই লজ্জাও এড়াানো গেল না। ২৫ ওভারের মধ্যে মাত্র ৭০ রানে অলআউট হয়ে ১৭৭ রানের বিশাল ব্যবধানে তো হারলই, ওয়ানডেতে গ্রেনাডার মাঠে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটাও বাংলাদেশ লিখল নতুন করে। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে নিজেদের সর্বনিম্ন ওয়ানডে রানের রেকর্ড নতুন করে লেখার হাত থেকেও।
কালকের ৭০ এখন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। আগেরটা ছিল ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডারউইনে করা ৭৪। আর সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড এখনো এ বছরের জুনে ভারতের বিপক্ষে এবং ২০১১ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা ৫৮-ই।
ব্যাটসম্যানের মধ্যে ওপেনার তামিম ইকবাল করেছেন ৩৭। বাকি ১০ জনের কেউ দুই অঙ্কের ঘরে তো যানইনি, সবাই মিলে করলেন মাত্র ২৮! দলের রান ৫৭ রেখেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন তিন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল।
মুশফিক, মাহমুদউল্লাহকে পর পর ফিরিয়ে তো হ্যাটট্রিকেরও সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সুনীল নারাইন! চার ওপেনারের টপ-মিডল অর্ডারেরই যখন এই অবস্থা, তখন বাকিদের কথা কি আর বলার প্রয়োজন আছে? প্রথম ওয়ানডেতে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও কাইরন পোলার্ড-দীনেশ রামদিন মিলে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ দলে সেই পোলার্ড-রামদিন কই!