পার্বত্য এলাকায় হরতালের দ্বিতীয় দিন
জেলা রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডিঃ মন্ত্রিসভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন অনুমোদনের প্রতিবাদে দেশের তিন পার্বত্য অঞ্চলে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো হরতাল চলছে।
রোববার সকালে ৭২ ঘণ্টার এই হরতাল শুরু হয়। খাগড়াছড়ি শহরে আগের দিনের মতো সোমবারও হরতালকারীদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে রাঙামাটিতে কয়েকটি স্থানে পিকেটিং হয়েছে। বান্দরবানে চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
বাঙালিদের পাঁচটি সংগঠন রোববার থেকে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে এই হরতালের ঘোষণা দেয়।
সংগঠনগুলো হল পার্বত্য সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য যুব ফ্রন্ট, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
এদিকে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকলেও এ তিন পার্বত্য জেলায় হরতালের সমর্থনে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
খাগড়াছড়ি রিপোর্টার জানান, সোমবারও দূরপাল্লার সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাহনগুলো বন্ধ থাকায় অফিস ও স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্তি পুলিশের পাশপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে বিজিবিও মোতায়েন করা হবে।
এবিসি নিউজ বিডি এর রাঙামাটি এবং বান্দরবান প্রতিনিধি এই দুই জেলায় ২য় দিনের হরতালের সংবাদ দিয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকে এ দুই জেলা থেকে কোনো দূরপাল্লার যান ছেড়ে যায়নি।
রাঙামাটি রিপোর্টার জানান, হরতালের দ্বিতীয় দিন সকালে শহরের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পিকেটাররা। বনরুপাসহ কয়েকটি স্থানে মিছিল করেছে।
শহরের অভ্যন্তরীণ ও দূরাপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ। জেলা সদর থেকে উপজেলাগুলোতে কোনো যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে না যাওয়ায় লোকজনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আইনশৃংখলা রক্ষায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বান্দরবান রিপোর্টার জানান, ঢিলেঢালাভাবে হরতাল চলছে। দূরপাল্লার কোনো যান জেলা শহর থেকে ছাড়েনি। শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
একই দাবিতে সংগঠনগুলো গত ৩০ মে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ এবং ২ জুন তিন পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করেছে।
গত ২৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইনের খসড়া অনুমোদিত হয়। ৩ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি চুড়ান্ত অমুমোদন দেয়া হয়।