কালা বাবুকে ধরতে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান
ঢাকা : মগবাজের তিন খুনের মূল আসামি কালা বাবুকে ধরতে রাজধানী জুড়ে চলছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান। গতকাল রাতভর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব। সীমান্তে শতর্কাবস্থার পাশাপাশি রাজধানীর বাইরে যেতে নৌ ও পরিবহনগুলোতে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শাইখ নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যার ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত না হতেই গতকাল মগবাজারে ভাই-বোনসহ তিনজন সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন। জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা হলেন, মুন্না (২৮), বিল্লাল (২৫) ও রানু আক্তার (৩০)। এ ঘটনায় হৃদয় (২২) নামের একজনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। নিহত মুন্না ও রানু আক্তার ও হৃদয় ভাই বোন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মগবাজারের সোনালীবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও র্যাবের একটি সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১২টার পর থেকেই গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ টিম মগবাজের তিন খুনের মূল আসামি কালা বাবুকে ধরতে রাজধানী জুড়ে অভিযান চালায়। তারা পরিচিত সব যায়গাগুলোতে অভিযাান চালিয়েও তাকে ধরতে পারেনি।
সূত্র আরো জানায়, সকাল থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাবের আরো কয়েকটি টিম অভিযান শুরু করেছে। সীমান্তে শতর্কাবস্থার পাশাপাশি কালা বাবু যাতে করে রাজধানীর বাইরে যেতে না পারে সে জন্য নৌ ঘাট ও পরিবহন টার্মিনালগুলোতে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে বরেছেন, এই হত্যাকান্ডের মূল হোতাসহ যারা অংশ নিয়েছে, তারা আটক না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। শিগগিরই ধরা পরবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, কালা বাবু মগবাজার ও রামপুরা এলাকার উঠতি সন্ত্রাসী। সে অনেক চতুর। পুলিশের খাতায় ওেস তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসী হলেও কখনো পুলিশের হাতে আটক হয়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল (২৮ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাইল্যা বাবু মগবাজারের সোনালীবাগের মুন্না ও রানুদের বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে মুন্না, বিল্লাল ও রানু আক্তারকে হত্যা করে। এ সময় হৃদয় নামে রানু আক্তারের ভাই গুলিবিদ্ধ হন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসী কাইল্যা বাবু চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করেছে। কাইল্যা বাবুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।