এদের স্বজনরা কি আর ফিরে আসবেন

Pic-1সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি,

ঢাকা : ‘আর কি আমাদের স্বজনরা ফিরে আসবে? বেচে আছেন না মেরে ফেলা হয়েছে, তাও জানি না। লাশ ফেরৎ দেওয়া হলে অন্তত দাফন দিতে পারতাম। কবরটাতো আগলে রাখতে পারতাম। সে ভাগ্যও হলো না আমাদের। তা হলে কি লাভ হলো আমাদের দেশ স্বাধীন হয়ে। আমরা কেউই দেশে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছি না। নিজের দেশেই নাগরিকেরা গুম হচ্ছেন!’ এভাবেই নিজের কষ্ট ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে মাইক্রোফোন ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লাকসামের সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলামের মেয়ে মাশরুফা ইসলাম।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘স্বজনদের ব্যথা: গুম, খুন, নির্যাতন আর না’ শীর্ষক সম্মেলনে মাশরুফা এসব কথা বলেন।
গত বছরের নভেম্বরে সাইফুল ইসলামসহ তিনজনকে র‌্যাব-১১’র পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে একজনকে থানায় ফেরত দেওয়া হলেও সাইফুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবিরের কোনো খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

মাশরুফা বলেন, আমার বাবাকে কী করা হয়েছে, আমরা জানি না। আর কি আমাদের তিনি ফিরে আসবেন? বেচে আছেন না মেরে ফেলা হয়েছে, তাও জানি না। লাশ ফেরৎ দেওয়া হলে অন্তত দাফন দিতে পারতাম। কবরটাতো আগলে রাখতে পারতাম। সে ভাগ্যও হলো না আমাদের।
ক্ষুব্দ কণ্ঠে মাশরুফা প্রশ্ন করে বলেন, তা হলে কি লাভ হলো আমাদের দেশ স্বাধীন হয়ে। আমরা কেউই দেশে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছি না। নিজের দেশেই নাগরিকেরা গুম হচ্ছেন!
মাশরুফা আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই। তারপরও নানা রকমের চাপ রয়েছে মামলা না চালানোর জন্য।’

লক্ষ্মীপুরে র‌্যাব-১১’র হাতে নিহত চিকিৎসক ফয়েজ আহমেদের মেয়ে রুজমা কাওসার প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়ে বলেন, ‘আমার বাবা একজন চিকিৎসক ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রেও চিকিৎসকেরা বিশেষ সুবিধা পান। কিন্তু আমার বাবাকে হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটাতো কোনো যুদ্ধক্ষেত্র ছিল না। তারপরও কেন এ ঘটনা ঘটল।’ গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে র‌্যাবের হাতে ডা. ফয়েজ আহমেদ নিহত হন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ