রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আইনের চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা আরো জোড়দার করতে ‘রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০১৪’র খসড়ার ভেটিং সাপেক্ষে চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া রেলওয়ের সম্পত্তি উদ্ধার কার্যকর করতে ‘রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল) আইন ২০১৪’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

Cabinet-1সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা জোড়দার করতে সরকার ইতিপুর্বেই উদ্যোগ নিয়েছিল। সেটা বাস্তবায়নে সামরিক সরকারের সময়ের ‘রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আইন’ সংশোধন করে আজ মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়। মন্ত্রিসভা এই আইনের খসড়ার ভেটিং সাপেক্ষে চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, রেলের নিরাপত্তার জন্য দুইটি বাহিনী রয়েছে। একটি হচ্ছে রেল পুলিশ জিআরপি। তাদের দায়িত্ব যাত্রী এবং যাত্রী এলাকার নিরাপত্তা বিধান করা। আর রেলের সম্পদ দেখা শোনার দায়িত্ব রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর। রেলওয়ে নিরাপত্তা আইন ১৯৯৭৬ সংশোধন করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী আইন-২০১৪ করা হয়েছে।

এছাড়া আজকের মন্ত্রিসভা রেলওয়ের সম্পত্তি উদ্ধার কার্যকর করতে ‘রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল) আইন ২০১৪’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল) আইনটি ১৯৭৬ সালে একটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে জারি হয়। রেলের সম্পত্তি অবৈধ দখল শাস্তি প্রদানের জন্য এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, প্রচলিত আইনেও রেলওয়ের দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধাওে সরকারের প্রক্রিয় বা উদ্যোগ অব্যাহত আছে। এই আইন পাশ হলে বেহাত হয়ে যাওয়া সম্পদ উদ্ধারে আরো নতুন মাত্র যোগ হবে।

মোশাররাফ হোসাইন এলন, রেলের বেহাত বা দখল হয়ে যাওয়া সম্পদ সম্পত্তি’র ইতিমধ্যেই একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এই তালিকা হালনাগাদ এবং এই আইনের নাম ‘রেলওয়ে সম্পত্তি অবৈধ দখল উদ্ধার আইন ২০১৪’ করা যায় কিনা, তাও আলোচনা কওে ঠিক করতে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে রেল মন্ত্রনালয়ে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ