পদ্মা সেতু মামলায় দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি দুদক
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের মামলায় কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
দুদক চেয়ারম্যান মো বদিউজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে প্রথমে মামলা কর হয়। তবে মামলা পরবর্তী তদন্তে আমরা ষড়যন্ত্রেরও কোনো প্রমাণ পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু দুর্নীতি প্রতিবেদনে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। এ তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (নথিভুক্ত) দাখিল করা হবে।’
২০ মিনিটের এ সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে মো বদিউজ্জামান বলেন, ‘পদ্মা সেতু দুর্নীতি নিয়ে আমরা দুই দফা অনুসন্ধান করি। প্রথম দফায় ঠিকাদার নিয়োগ এবং দ্বিতীয় দফায় পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়। ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সেই অনুসন্ধানটি নথিভুক্ত (ফাইল ক্লোজ) করা হয়।’
পদ্মা-সেতুর পরামর্শক নিয়োগ নিয়ে অনুসন্ধানের বিষয়টি উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক দাবি করে—পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে। গণমাধ্যমেও এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়। পরে আমরা অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এ বিষয়ে একটি মামলা করি। তবে মামলা পরবর্তী তদন্তে আমরা দুর্নীতি বা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের কোনো সত্যতা পাইনি।’
বদিউজ্জামান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক টিমের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি, যার ভিত্তিতে আমরা তদন্ত চালিয়ে যেতে পারি। এ ছাড়া তদন্ত সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো তথ্যও ছিল না।’