৪৮ লাখ টাকা উদ্ধার ও সায়মুন হত্যাকারীদের ধরতে খিলগাঁও থানা পুলিশের কোন উদ্যোগ নেই
আনোয়ার আজমী, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসার ছিনতাই হওয়া ৪৮ লাখ টাকা উদ্ধার ও সায়মুন হত্যাকারীদের ধরতে খিলগাঁও থানা পুলিশের কোন উদ্যোগ নেই। ঘটনার পর খিলগাঁও এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাসি বা নিরাপত্তা তৎপরতা জোড়দার করা হয়নি।
শুক্রবার রাজধানীর ঘনবসতির এই থানা এলাকা সরেজমিন ঘুরে এ অবস্থা দেখা যায়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত থানায় পাওয়া যায়নি ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সিরাজুল ইসলাম শেখ, ওসি তদন্ত ওয়াহিদুজজ্জামান ও অপারেশন অফিসার (সেকেন্ড অফিসার) শেখ কামরুজ্জামানকে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির খিলগাঁও থানার শান্তিপুর এলাকায় একই সাথে পিতা-পুত্রকে গুলি করে ৪৮ লাখ টাকা লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। গুলিতে শরিফুল হোসেন সাইমুন (৩২) নিহত হয়েছেন। আর তার পিতা ইস্রাফিল হোসেনকে (৫৮) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাত-পা এবং শরীরে চারটি গুলি লেগেছে তার।
বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনার পর শুক্রবার খিলগাঁও থানা এলাকায় গিয়ে বাড়তি কোন পুলিশি তৎপরতা দেখা যায়নি। প্রতিদিনের মতই ঢিলেঢালাভাবে চলছিল থানার কার্যক্রম। দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তাকেও পাওয়া যায়নি থানায়। তারা কখন থানায় আসবেন, নাকি আসবেন না, সে সম্পর্কে কোন তথ্যও দিতে পারেননি ডিউটি অফিসার এস.আই ফজলুল হক। শুধু তাই নয়, লুট হওয়া ৪৮ লাখ টাকা উদ্ধারেও থানার পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা অভিযান পরিচালনার কথা জানা যায়নি।
এদিকে নিহত শরিফুল হোসেন সাইমুনের মরদেহ পোষ্টমর্টেম শেষে শুক্রবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদ আছর খিলগাঁও এলাকায় জানাজা শেষে সায়মুনের মরদেহ পিতা ইস্রাফিল হোসেনের দেখার জন্য বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। পুত্রের মৃত্যুর খবর এখনো তিনি জানেন না। ইস্রাফিল হোসেনের শরীর থেকে গুলি অপসারন করা যায়নি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আগামীকাল (শনিবার) তার শরীরে অস্ত্রপচার করা হবে।