বিপিসির টাকা আত্মসাতের মামলায় অব্যাহতি পেলেন ১১জন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ৪৭৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু বকর সিদ্দিকসহ ১১ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে কমিশন সভায় অব্যাহতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অব্যাহতি পাওয়া অন্য ১০ জন হলেন অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে ওএসডি) ও বিপিসির সাবেক সচিব আনোয়ারুল করিম, বিপিসির সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম জাফরউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত সচিব), সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মুক্তাদির আলী এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) ও বিপিসির সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আবদুল আউয়াল। তাঁরা তদন্তে আগত অভিযুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) গিয়াস উদ্দিন আনসারী, উপমহাব্যবস্থাপক (হিসাব) কাজী সহিদুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মনিলাল দাস, উপব্যবস্থাপক (অর্থ) জাহাঙ্গীর হোসেন, উচ্চমান সহকারী (অর্থ) নুরুল ইসলাম এবং উপব্যবস্থাপক (হিসাব) জাকির হোসেনও এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
বিকেলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো সাহাবুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তে দালিলিক তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় সচিবসহ অভিযুক্তদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, পুরো মামলাটি নথিভুক্ত করা হবে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ওশান লস (সমুদ্রে পরিবহনজনিত লোকসান) কম-বেশি দেখিয়ে ২০০৯-১০, ২০১০-১১ এবং ২০১১-১২ এই তিন অর্থবছরে অভিযুক্তরা ৪৭৪ কোটি টাকা বিল পরিশোধের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। ওই তিন অর্থবছরে তারা রিফাইন অয়েল, অকটেন, পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, জেট ফুয়েল ইত্যাদি আমদানির মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রকৃত এলসির পরিমাণ লোডিং পয়েন্ট সার্ভে রিপোর্টের পরিমাণ এদিক-ওদিক করে তিন বছরে অতিরিক্ত মোট ছয় কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার ৫৭৬ লিটার তেল চুরি করেন, যার মূল্য সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার বেশি। ২০১৩ সালের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।