জনপ্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বিকেল পর্যন্ত দুদকের চিঠি পায়নি
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঠানো সেই চিঠি পায়নি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই চিঠি পৌছায়নি মন্ত্রণারয়ের গ্রহন শাখায়। অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত করে সোমবার চারজন সচিব ও একজন যুগ্ম সচিবের মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিল করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এই সুপারিশ করে সোমবার চিঠি পাঠায় দুদক। মঙ্গলবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এবিসি নিউজ বিডি’র প্রতিবেদককে বলেন, ‘দুদক তদন্ত করে আমাদের সুপারিশ মূলক চিঠি পাঠিয়েছে বলে পত্রিকায় দেখেছি। কিন্তু সেই চিঠি আমরা এখনও পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ বিষয়ে এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, দুদকের সুপারিশ সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় এখনো পায়নি। আমি গ্রহন শাখা থেকে জানতে চেয়েছিলাম। তারা আমাকে এ তথ্য জানিয়েছে। সুপারিশ এলে বিধি মোতাবেক উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেওয়া চার সচিবরা হলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এম.এম নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী (ওএসডি) সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ.কে.এম আমির হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান (বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় বেসরকারীকরণ কমিশনের চেয়রম্যান) ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদার (ওএসডি)। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যারা ভুল তথ্য দিয়ে চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছেন, এই মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৮২ জন সরকারি কর্মকর্তার সনদ বাতিল করা হয়েছে। তবে শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।