কোরবানির গরু মোটা-তাজায় নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার : পবা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি , ঢাকাঃ অতি লাভের আশায় কোরবানির গরু দ্রুত মোটা-তাজা করা হচ্ছে। এ জন্য গরুকে নিষিদ্ধ ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় দেওয়া হচ্ছে। কৃত্রিমভাবে মোটা-তাজা করা এই গরুর মাংস খেলে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
পবার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মূলত স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ানোর ফলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গরু মোটা হয়ে যায়। এ ধরনের গরুর মাংস খেলে মানুষের কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত ও রোগ দেখা দেবে। যাঁদের রক্তচাপ ও রক্তে সুগারের মাত্রা বিপৎসীমার কাছাকাছি, তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব লেলিন চৌধুরী জানান, গরুকে স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ খাওয়ালে তার অবশেষ মাংসের মধ্যে রয়ে যায়। ওই ওষুধ খাওয়ালে তা মানবদেহে জমা হয়। এতে মানুষের বিপাকক্রিয়া কমে যায়। তাই এ ধরনের কার্যক্রম মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
সংবাদ সম্মেলনে পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহান বলেন, দেশে বর্তমানে প্রতিবছর ৪২ লাখ গরু ও ১ কোটি ৮০ লাখ ছাগল জবাই হয়। এর ৪০ শতাংশ কোরবানির সময় জবাই হয়। তিনি বলেন, এসব গরুর ৪০ শতাংশ আসে ভারত থেকে। এই গরুগুলো পরীক্ষা ছাড়া দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া ঠিক না। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের স্থানীয় পর্যায়ে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহারে তদারকির পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কৃষিবিদ আখতারুজ্জামান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় প্রাণীরোগ অনুসন্ধান গবেষণাকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র দাস বলেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ আইন-২০১০ অনুযায়ী প্রাণীকে এ ধরনের ওষুধ সেবন করানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে—এমন খবর পেলে এবং তা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের জানালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।