এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহারে চাই সতর্কতা
লাইফ স্টাইল, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মাঝে মাঝে আমাদের ঘরে, রান্নাঘরে, বাথরুমে, অস্বস্তিকর কিছু গন্ধ পাওয়া যায়। তখন তা থেকে মুক্তি পেতে আমরা বেছে নিই এয়ার ফ্রেশনার। আবার ঘর সাজাতে, সুগন্ধ ছড়াতেও রয়েছে এয়ার ফ্রেশনার বা সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতির ব্যবহার। গাড়িতে সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালানো সম্ভব নয়, তাই সেখানেও সেই এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে হয়।
তবে যাঁরা অ্যালার্জিতে ভুগছেন, তাঁদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে সুগন্ধিযুক্ত এসব উপাদান। কারণ, সুগন্ধি দ্রব্যগুলোর কারণে চোখ ও নাকের ভেতরে তৈরি হতে পারে অস্বস্তিকর অনুভূতি।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, এয়ার ফ্রেশনারে যে ধরনের উপাদান থাকে, তাতে সরাসরি ক্যানসার না হলেও তার আশঙ্কা থাকে। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে তেমন কোনো গবেষণা পাওয়া যায় না। তবে শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন রোগীদের ঘরে এয়ার ফ্রেশনার বা সুগন্ধিপণ্যের ব্যবহার না করাই ভালো। এমন ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন (বক্ষব্যাধি) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম জানান, যাঁদের অ্যালার্জি আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা বেশি। অনেকের ফুসফুস বা নাকের অ্যালার্জি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় এয়ার ফ্রেশনার।
একটা সময় মানুষ ঘর সুগন্ধি করতে সকাল-বিকেল ব্যবহার করতেন আগরবাতি বা ধূপ। তবে সময়ের পরিবর্তনে বাজারে বিভিন্ন প্রকারের এয়ার ফ্রেশনার কিনতে পাওয়া যায়। যেমন: বাথরুমের জন্য ন্যাপথলিনের সঙ্গে মিশ্রিত সুগন্ধি, রান্নাঘরে বা কক্ষের জন্য এয়ার উইক। এ ছাড়া গাড়ির জন্য রয়েছে সুগন্ধি স্প্রে।
কেনার আগে যা জানা জরুরি: সুবাসিত মোমবাতি, তা ঘরের জন্য সুবিধাজনক হতে হবে। ভালো ব্র্যান্ডের ও মেয়াদোত্তীর্ণ কি না দেখে নিতে হবে। মোড়কে দেওয়া উপাদানের নাম জেনে নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুটপাত থেকে কোনো ধরনের এয়ার ফ্রেশনার কেনা উচিত নয়। সে জন্য যেকোনো দ্রব্য ব্যবহারের পরে টিনের বা প্লাস্টিকের বোতল সরাসরি ফেলে না দিয়ে নষ্ট করে ফেলুন।
আমাদের কারও কারও ধারণা, এয়ার ফ্রেশনার বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। আসলে তা নয়, দুর্গন্ধকে আড়াল করে মাত্র। বলা যেতে পারে, দুর্গন্ধ আড়াল করার জন্য সাময়িক ব্যবস্থা হলো এয়ার ফ্রেশনার। আপনি যদি জানালা-দরজা খুলে আলো বাতাস ঢুকতে দেন, তাহলে তা হবে সবচেয়ে ভালো উপায়।