ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেওয়া চার সচিব ও এক যুগ্ম সচিবের সনদ বাতিল
আনোয়ার আজমী, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেওয়া চার সচিব ও এক যুগ্ম সচিবের সনদ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ইস্কাটনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুক) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হওয়া অভিযুক্ত এই পাঁচ সচিব হচ্ছেন, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, বর্তমান স্বাস্থ্য সচিব এম.এম. নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ.কে.এম আমির হোসেন, ওএসডি হওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কে.এইচ মাসুদ সিদ্দিকী এবং ওএসডি হওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদার। অভিযুক্ত এই পাঁচ সচিব মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরির মেয়াদ বাড়াতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহন করেছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ইস্কাাটনের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুক) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে চার সচিব ও এক যুগ্ম সচিবের সনদ বাতিল করাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। এই মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ পূনরায় যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধন্ত নেয়া হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন পাঁচ সচিবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এখতির বিধায় এ বিষয়টি এই দুই মন্ত্রণালয় সিদ্ধন্ত গ্রহন করবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। ইতিপূর্বে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। দুদক গত ৮ সেপ্টেম্বও সোমবার এই পাঁচ সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়।