মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকদের চাকরির বর্ধিত বয়স এক বছর কমল
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকরির বর্ধিত মেয়াদ দুই বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জমা দেবেন—এই শর্তে যে পাঁচ অধ্যাপক ও এক কর্মকর্তা বয়স বাড়িয়েছিলেন, তাঁদের ব্যাপারে আলাদা কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এদের একজন ইতিমধ্যেই এক বছর এলপিআরে কাটিয়েছেন, যা চাকরির স্বাভাবিক সময় হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছাড়াই মেয়াদ বাড়ল পাঁচ অধ্যাপকের’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ জমা দেওয়ার পর স্বাভাবিক সময় শেষে চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর কথা থাকলেও সনদ ছাড়াই পাঁচ অধ্যাপক ও এক কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। গত ২২ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় ওই সিদ্ধান্তের পর ১ জুলাই থেকে চার শিক্ষক ও এক কর্মকর্তা এ সুবিধা ভোগ করছিলেন।
২০১০ সালের ১৩ মে সিন্ডিকেট সভায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অবসর গ্রহণের বয়স দুই বছর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। ২০১১ সালের ৬ জুলাই অপর এক সভায় বলা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে সনদ নেওয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’
কিন্তু সনদের জন্য আবেদন করে ও সনদ ছাড়াই তাঁদের নজিরবিহীন এ সুবিধা দেওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছে, এই সিদ্ধান্তের সময় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের আবেদনপত্রে যেসব প্রমাণাদি জমা দিয়েছিলেন সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গণকর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ সাধারণ গণকর্মচারীদের চেয়ে এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধি রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে থাকলে চলতি বছর ৪ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে সরকার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, যাঁরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন, তাঁদের সনদ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) যাচাই-বাছাই না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। আর যাঁরা এক বছরের বেশি সময় ধরে সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের সুবিধা চিঠি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।