বাজেট বাস্তবায়ন বরাবরই শর্তসাপেক্ষ
একটি বছরের বাজেট থেকে কতটাই-বা পাওয়ার আছে আমাদের? আর সে বাজেট যদি হয় একটি বিশেষ অর্থবছরের জন্য প্রণীত? আগামী অর্থবছরের পুরোটা আবার শেষ করতে পারবে না বর্তমান সরকার। তিনটি সরকার সদ্যঘোষিত বাজেট বাস্তবায়ন করবে বলে সবাই যখন বলাবলি করছিল, তখনই অর্থমন্ত্রী তার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বলে বসলেন- দুটি সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে। তিনি বলতে চাইলেন, কিছুটা ছোট আকৃতিতে হলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই একটি মন্ত্রিসভা নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে কাজ করবে।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সৃষ্ট মতভেদ কাটিয়ে উঠতে সংলাপের কথাবার্তা যখন জোরেশোরেই হচ্ছে, তখন অমন উক্তি করার দরকার ছিল না বোধহয়। তবু না হয় মেনে নেওয়া গেল, বাস্তবে অর্থমন্ত্রীর কথাই টিকবে। তাহলে তো প্রশ্ন ওঠে, ওই রকম সরকারের অধীনে ১৫ ফেব্রুয়ারি ধাঁচের একটা নির্বাচনই হবে কিনা নিকট ভবিষ্যতে! তাই যদি হয়, এর আগে ও পরে দেশে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে? তাতে বাজেটের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন তো পরের কথা, সরকার তার রুটিন কার্যাবলিও ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবে কি, যেমন, সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো কাজ?
আমরা লক্ষ করি, রাজনীতি কোনো কারণে সংঘাতময় হয়ে উঠলে পুলিশ ও র্যাব অতিমাত্রায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে ওই পরিস্থিতি সামাল দিতে। এ সুযোগে অরাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের বাড় বেড়ে যায়। তাদের সামাল দেওয়ার দাবির প্রতিও পুলিশ তেমন কর্ণপাত করে না। সাধারণের প্রত্যাশাও বোধহয় কমে যায় নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা এবং সরকারের পক্ষে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব?
হরতালের মতো কর্মসূচিতেও চুপচাপ ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল দেশে। হরতালে আন্তঃজেলা সড়কপথে যাত্রীপরিবহণ না হলেও পণ্য, বিশেষত রফতানি পণ্য বহনকারী যানবাহন চলাচল করত আগে। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ‘আন্দোলনে’ সে সুযোগও রাখা হল না। জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলামের মতো শক্তি যুক্ত হয়ে পড়াতেই এমনটি ঘটল কিনা, সে আলোচনায় না গিয়েও বলা যায়- ব্যবসায়ীরা এটা দেখে শংকিত।
রানা প্লাজার মতো ঘটনায় এমনিতেই আমাদের রফতানি কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে সম্প্রতি। তার আগে থেকেই চলছে আবার সহিংস আন্দোলন। এতে রফতানি পণ্য তৈরির জন্য আনা পুঁজিপণ্য ও কাঁচামাল পরিবহণও বিঘ্নিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের প্রতিযোগী অর্থনীতিগুলোও যে বেশি কিছু করে ফেলেছে, তা অবশ্য বলা যাবে না। আমেরিকার অর্থনীতিতে আশাবাদ বেড়ে উঠতে থাকলেও ইউরোপের অনেক দেশে এখনও ছড়িয়ে আছে হতাশা।
এতে আমাদের মতো দেশের রফতানি মার খাচ্ছে সন্দেহ নেই। এসব দেশে প্রতিযোগিতা বেড়েছে কমদামে পণ্য রফতানির। স্থানীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও রয়েছে এ প্রতিযোগিতা। এতে রফতানি বাড়লেও আয় কমে যাওয়ার শংকা উড়িয়ে দেবে কে? শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি এড়াতে মালিকপক্ষ অবশ্য এ পরিস্থিতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে।
এমন চেষ্টা অন্যান্য দেশেও রয়েছে। মজুরি কমাতে না পারায় ওইসব দেশ থেকে কিছু উৎপাদনমূলক কাজ বা ব্যবসা আমাদের দেশে চলে আসার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। সেটি ধরতে পারার ক্ষেত্রে আবার নীতিগত না হলেও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে আমাদের। এর মধ্যে যদি নির্বাচনের এ বছরটায় সহিংস রাজনীতিও আমাদের গ্রাস করে ফেলে এবং একতরফা একটি নির্বাচন হয়ে গেলেও তা নিয়ে সংকট আরও ঘনীভূত হয়ে ওঠে- তাহলে?
বাইরে থেকে বিনিয়োগ বা সেটি ঘিরে যৌথ উদ্যোগ তো দূরের কথা, দেশেও কি হবে নতুন বিনিয়োগ কিংবা ঘটবে ব্যবসার সম্প্রসারণ? দেশি লোকেরা উৎসাহভরে বিনিয়োগ না করলে বিদেশিরা এখানে আসতে উৎসাহ পাবে না। এখানকার চালু কারখানা থেকে পণ্যসামগ্রী বানিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও তাদের ভরসা থাকবে কম। জাহাজনির্মাণ শিল্পে হয়তো তেমন অভিঘাত সৃষ্টি করবে না, কিন্তু তৈরি পোশাকের মতো পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমস্যা তৈরি করবে এটি।
এভাবে আমাদের প্রধান রফতানি খাতেই যদি সমস্যা বেড়ে ওঠে, তাহলে একটু রয়েসয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে- তাও কি অর্জিত হবে আগামী অর্থবছরে? গার্মেন্টের মতো শ্রমঘন খাতে মন্থরগতি দেখা দিলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যসামগ্রীর কার্যকর চাহিদাও এতে আরও কমবে। ভর্তুকিসহ বিপুল সহায়তা জুগিয়ে শুধু কৃষিখাত আর গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখলেই তো হবে না, প্রবৃদ্ধিতে এর অবদান তো আনুপাতিকভাবে কমছে।
তাছাড়া কৃষিউৎপাদন বাড়তে বাড়তে কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে এখন। প্রাকৃতিক নিয়মেই এটি ঘটছে- না এতে রয়েছে কৃষিকাজে অব্যাহতভাবে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার ধকল আর কৃষিপণ্যের লাভজনক দাম না পাওয়ার যাতনা, তা নিয়ে ভালো গবেষণা হওয়াও দরকার। নতুন কিছু ফসল চাষে কৃষকের উৎসাহ বাড়ছে এর ভালো চাহিদা ও দাম রয়েছে বলেই। এতে চাল উৎপাদনে যে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ অর্জিত হয়েছে, তা টলে যেতে পারে আগামী কয়েক বছরে। খাদ্যনিরাপত্তায় সংকট সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে এটা মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখাকেও আরও কিছুটা চ্যালেঞ্জপূর্ণ করে তুলবে।
আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির যে প্রাক্কলন করেছেন অর্থমন্ত্রী, তা থেকে এখনও বেশ কিছুটা দূরে অবস্থান করছি আমরা। বিধিনিষেধ সত্ত্বেও নির্বাচনের বছরে দেশব্যাপী যেভাবে অর্থকড়ি ব্যয় হবে এবং এটা যেসব পণ্যসামগ্রীর চাহিদা বাড়িয়ে তুলবে, তাতেও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা হবে কঠিন। কমে আসা বিনিয়োগ বাড়িয়ে তুলতে অর্থমন্ত্রী স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ ছাড় দিয়েছেন কর প্রস্তাবে। আশা করা যায়, এর তেমন বিরোধিতা হবে না এবং মাস শেষে প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব সংশোধনী আসবে, তাতেও এগুলো প্রভাবিত হবে না।
এখানে সমস্যা হল, শুধু কর-রাজস্ব ছাড়ে সংশ্লিষ্ট খাতগুলোয় বিনিয়োগ বাড়বে না। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তো বটেই, ঘনিয়ে আসা সংকট বা অনিশ্চয়তার দিকেও দৃষ্টি রাখবেন উদ্যোক্তারা। ব্যাংকে তারল্য সংকট কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে এ ক্ষেত্রে রক্ষণশীলতা রয়েছে বা করা হবে বলেও কেউ মনে করছে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে- বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত।
সন্দেহ নেই, চলতি অর্থবছরে সরকার তার প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি নিয়েছে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকব্যবস্থা থেকে। কিন্তু মূলত এ কারণেই বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ সংকুচিত হয়েছে বলে ব্যবসায়ী মহল থেকেও জোরগলায় বলা হচ্ছে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক ব্যাংককেই এখন আর উৎসাহী দেখা যাচ্ছে না আমানত সংগ্রহে। আমানতে সুদের হার কমিয়ে দেওয়ার প্রবণতাও তাদের মধ্যে লক্ষণীয়। সঙ্গে রয়েছে বেশি সুদে দীর্ঘমেয়াদি আমানত সংগ্রহে অনুৎসাহ। উদ্যোক্তাদের ঋণ জোগানো তথা সুদের ব্যবসায় তাদের মধ্যেও একটা অনিশ্চয়তার বোধ অনেকে লক্ষ করছেন।
এর মধ্যে আবার ‘মাত্র দুটি সরকার’ আগামী বাজেট বাস্তবায়ন করবে বলে অর্থমন্ত্রী হয়তো ভুল বার্তাই দিলেন সংশ্লিষ্টদের। সরকারে সবচেয়ে প্রবীণ মন্ত্রী তিনি। সরকারপ্রধানের মনোভাব তিনি ভালোমতো জানেন হয়তো-বা। কিন্তু ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার মনোজগতেও দৃষ্টি রাখতে হবে তাকে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে কেন আগামী অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয় ব্যক্ত করা হয়েছিল, সেটিও বুঝতে চাননি অর্থমন্ত্রী। চাকরির ভয়ে হয়তো আর কিছু বলবেন না তারা; সরকারের শেষ বছরটায় কর-রাজস্ব আহরণে ব্যর্থতাও বরণ করে নেবেন নিরবে।
কয়েক বছরের সাফল্যের পর চলতি অর্থবছরেও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে যাচ্ছে বলে প্রাপ্ত খবরাখবরে কিন্তু মনে হচ্ছে না। আমদানি শুল্কের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে ভ্যাটনির্ভর থেকে আমরা এখন আয়করনির্ভর হতে চলেছি। কর-রাজস্ব আহরণে এটি ইতিবাচক রূপান্তর বটে। বর্তমান শাসনামলেও এ ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সন্দেহ নেই।
কিন্তু দু’ বা তিনটি সরকারের বাজেট বাস্তবায়নকালে গোটা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিকূলে থাকে; তবে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর আহরণের কাজটি সুষ্ঠুভাবে এগোবে বলে মনে হয় না। স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় অর্থমন্ত্রীর কর প্রস্তাবে বোঝা যায়, শুল্ক আরও কম আহরিত হবে নতুন অর্থবছরে।
কিন্তু উৎপাদন ও বেচাবিক্রি কমে এলে ভ্যাট আহরণ বাড়বে কীভাবে? করপোরেট আয়কর বাড়িয়ে তোলার একটি প্রয়াস নতুন বাজেটে স্পষ্ট। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র টেলিকম কোম্পানিটির কর বাড়িয়ে নির্ধারণের প্রস্তাব অবশ্য বিতর্ক সৃষ্টি করবে। এরই মধ্যে কম বিতর্ক সৃষ্টি করেনি আবাসন খাতে অল্প করের বিনিময়ে টাকা সাদা করার সুযোগদানের প্রস্তাব। এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর আহরণের আশা বোধহয় করছেন অর্থমন্ত্রী।
তার বদলে উৎপাদনমূলক খাতে বিপুল পরিমাণ টাকা সাদা হলে সেটি কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির জন্য ভালো হত বলে মনে করেন অনেকে। আবাসন খাতে অর্থ খাটানোকে অবশ্য ‘অনুৎপাদনমূলক’ মনে করেন না অর্থমন্ত্রী। সত্য যে, ভূমিউন্নয়ন ও দালানকোঠা নির্মাণে কম শ্রমিক নিয়োজিত হয় না। সম্প্রতি এ খাতে গ্যাস সংযোগও দেওয়া হচ্ছে নতুন করে।
এখানে প্রশ্ন হল, গড়ে ওঠা দালানকোঠায় উৎপাদন ও সেবামূলক কাজকর্ম হবে তো? তাহলেই অর্থনীতির চাকা ঘুরবে আর সৃষ্টি হবে সম্পদ। এটা হলে রাজস্ব আহরণও বেড়ে উঠবে।
জাতীয় নির্বাচনের বছরে অর্থমন্ত্রী সড়ক ও রেলপথ উন্নয়নে বড় বরাদ্দ দিয়েছেন বাজেটে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় পদ্মা সেতু প্রকল্প ও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) রাখা থোক বরাদ্দে আশংকা অনুযায়ী কাজ না এগোলেও দেশব্যাপী রাস্তাঘাট উন্নয়নে সরকার নিশ্চয়ই আগ্রহ দেখাবে। এ ক্ষেত্রে আবার সমস্যা হল, অর্থবছরের প্রথম কয়েকটা মাস চলে যাবে বৃষ্টিবাদলে। রমজানের পর রাজনৈতিক পরিবেশ আবার নতুন ও বেশি করে উত্তপ্ত হয়ে পড়ার আশংকা। নজিরবিহীন সহিংস আন্দোলনে সড়ক ও রেলব্যবস্থার ক্ষতিও কিন্তু কম হয়নি গত ক’মাসে।
আমাদের অর্থনীতি যদিও খারাপ করছিল না কয়েক বছরে; তা সত্ত্বেও মূলত অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই বলা কঠিন হয়ে পড়েছে- আগামী বাজেট কীভাবে কতটা বাস্তবায়িত হবে আর এতে কী সুফল পাব আমরা। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি ঋণ-সহায়তার প্রাক্কলনও বাস্তবসম্মত বলে ধরা যাচ্ছে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে এবং এতে একটি টেকসই সরকার মিলবে তাকেই বরং সহায়তা জোগাতে চাইবেন তারা।
এ অবস্থায় মেয়াদের শেষ বছরের সরকারটি হয়ে পড়তে পারে অতিমাত্রায় ব্যাংকঋণনির্ভর। সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বাড়িয়েও জনগণের কাছ থেকে বেশি ঋণ নিতে চাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। এতে বাজেটে ঋণের সুদবাবদ ব্যয় আরও বেড়ে উঠবে না কি? পরবর্তী সরকারের জন্য এটি হয়ে পড়তে পারে সংকটজনক।
মজার বিষয় হল, এসব নিয়ে বিরোধী দলকেও তেমন চিন্তিত দেখাচ্ছে না। সংসদে গেলেও বাজেটের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনায় যেন মন নেই তাদের।
হাসান মামুন : সাংবাদিক।