২০১৯ সালে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কামরুল
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। সেই সময়ের নির্বাচনকালীন সরকারে শুধু সংসদের দলগুলো থাকবে। বিএনপির কোনো স্থান হবে না, আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তো প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা চলছে, এগুলো মোকাবিলা করতে প্রভাবশালী আইনজীবী নিয়োগ করুন। নতুন করে যাতে মামলা না হয়, সেভাবে চলেন। আন্দোলনে নেমে আবারও অরাজকতা শুরু করলে আরও মামলা হতে পারে।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি দিতে দিতে কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) আন্দোলনে নামলে আমাদের সুবিধা। আমরা অনেকদিন যাবৎ রাজপথে নামি না। স্বাস্থ্যের জন্য হলেও রাজপথে নেমে তাদের মোকাবিলা করা উচিত।’
ড. কামাল হোসেন ও মাহমুদুর রহমান মান্নার সমালোচনা করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ড. কামাল ও মান্নারা এক হয়েছে। এদের কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। এরা কাগুজে রাজনৈতিক দল। এদের শক্তি মিডিয়া। এরা বিএনপি-জামায়াতের সুরে কথা বলে।’
ড. কামালকে উদ্দেশ করে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ড. কামাল দলের গণতন্ত্রের কথা বলেন। অথচ তাঁর দলেই (গণফোরাম) গণতন্ত্র নেই। দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয় না। একেক সময় একেক জনকে সাধারণ সম্পাদক করেন। তাও আবার ভারপ্রাপ্ত।’
কিছু ওয়ানম্যান পার্টি (একক ব্যক্তিনির্ভর দল) দিয়ে রাজনীতির নতুন মেরুকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কামরুল।
সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই—এমনটা দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন,‘১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সংলাপ যেমন সফল হয়নি, তেমনি স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গেও কোনো সংলাপ সফল হবে না। এদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না।’
জোটের সভাপতি তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অভিনেতা ইনামুল হক, জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকারসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।