আবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড
চুয়াডাঙ্গা রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দুই বাংলাদেশি হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি।
জীবননগর উপজেলায় রোববার রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ এর উপঅধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানিয়েছেন।
নিহত ইমরান হোসেন (২৪) গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে।
রোববার ভোরে ভারতের পুটিখালী সীমান্তে হত্যার পর বিএসএফ লাশ পাশেই একটি বাঁওড়ের কাছে ফেলে রেখে যায়।
এই ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, গরু আনতে শনিবার রাতে ভারতের পুটিখালী সীমান্ত অতিক্রম করেন ইমরান। ফিরে আসার সময় তিনি বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন।
সকালে স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে বিজিবিকে খবর দেয়। ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে লাশটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
মেজর মেহেদী হাসান জানান, “ইমরানকে খুব কাছ থেকে রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছিলো। একটি বুলেট ইমরানের চোখে ঢোকে।”
বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, এই হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফ-১৭৩ ব্যাটালিয়নে চিঠি দিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের সীমানত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে থাকলেও তা থামছে না।
বাংলাদেশের বারংবার প্রতিবাদের মধ্যে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি আসে; প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র দেয়া হয় বিএসএফ সদস্যদের। ৎ
গত ১২ জুন ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ পরিস্থিতির উন্নতি দাবি করার আগের রাতেই যশোর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হন।
এই বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে অবশ্য ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। ওই সময় ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত চার বিএসএফ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গঠন করা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতার তদন্ত কমিটি।
বিজিবি’র প্রতিবাদ
এদিকে বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ’র সর্বোচ্চ পযায়ে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পতাকা বৈঠকেও নিন্দা জানানো হলে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে জানিয়েছে।
একই সাথে তদন্ত আদালত গঠন করে দ্রুতসময়ে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছে তারা।