ইসির তদারকিতে ঘাটতি ছিলো
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে গেলেও এতে নির্বাচন কমিশনের তদারকিতে ঘাটতি ছিলো বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
এবার মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তৎপরতায় উৎরে গেলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন।
শনিবার চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। একদিনে এত নির্বাচন এই প্রথম সামলালো দুই বছর আগে গঠিত কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসি।
ভোটগ্রহণের দিন অনেক বেলা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনার ও সচিবের অনুপস্থিতি অনেকের চোখে পড়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এনিয়ে উষ্মাও জানিয়েছে।
তবে পরে সিইসিসহ কমিশনাররা নির্বাচন কমিশনে যান এবং ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হওয়ায় সন্তোষও প্রকাশ করেন।
এই নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো গোলযোগ না হওয়াকে নির্বাচনী পরিবেশের একধাপ অগ্রগতি বলে মনে করেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির স্থানীয় সরকার পরামর্শক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।
তিনি এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থী ও ভোটারের মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা হয়ে যায় এই নির্বাচনে। তারাই ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সবাইকে চাপে রাখে। এমন পরিবেশ এখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে আগামীতেও।”
আচরণবিধি প্রতিপালন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃংখলাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তোফায়েল আহমেদ।
“তবে সার্বিক নির্বাচন পরিস্থিতি নিবিড় তদারকিতে নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেছে। তাদের ক্ষিপ্রতা ছিলো না।”
বিগত জাতীয় নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন মনে করেন তাদের সময়ে সংস্কারের ধারাবাহিকতাই এই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভূমিকা রেখেছে।
“মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষিপ্রতায় সুন্দর নির্বাচন হলো। কিন্তু ইসির তদারকি তেমন ছিলো না। যেসব কমিশনারদের তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো, তারা তা সঠিকভাবে করেননি।”“অথচ আমাদের সময়ে আমরা মুহূর্তে মুহূর্তে পরিস্থিতির খোঁজ নিতাম,” বলেন সাবেক এই কমিশনার।
বিভিন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে আসা সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সার্বিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে এবার। কিন্তু জনমনে আস্থা অর্জনে ও সংসদ নির্বাচনের পথে আরো এগোতে হবে কমিশনকে। নতুন এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।
সিইসি কাজী রকিব ভোটের পরে ‘স্বস্তি’ দেখালেও ‘সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেননি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য আরো পথ পাড়ি দিতে হবে বলে তিনিও বুঝতে পারছেন।
শনিবার ভোটগ্রহণ শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বড় টেস্ট সামনে, জাতীয় নির্বাচন। তা ভালোভাবে করেই সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে চাই।”