ভাষা মতিনকে কাল শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ কাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
আজ বুধবার সকাল নয়টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল মতিন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
প্রায় আড়াই মাস ধরে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই ভাষাসৈনিক। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ হাসপাতালে ভিড় করেন।
ভাষাসৈনিক মতিন আর নেইদুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক আবদুল মজিদ ভূঁইয়ার কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কাল দুপুর ১২টায় আবদুল মতিনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হবে। মরণোত্তর চক্ষু দান শেষে আজ তাঁর মরদেহ বিএসএমএমইউর হিমঘরে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরণোত্তর দেহ দান করেছেন আবদুল মতিন। এ ছাড়া সন্ধানীকে মরণোত্তর চক্ষুও দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
মরণোত্তর দেহদান করলেন ভাষা মতিন
ভাষা মতিনের চিঠিতে বলা হয়, ‘আমি আবদুল মতিন, পিতা-মৃত আবদুল জলিল, মাতা-মৃত আমেনা খাতুন স্বেচ্ছায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় আমার মরণোত্তর দেহ বা লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের শিক্ষার্থীদের এনাটমি ফিজিওলজি ইত্যাদি শেখার কাজে লাগবে জেনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দেহ সম্পূর্ণ এবং সন্ধানীকে চক্ষু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও কন্যাদের সম্মতি রয়েছে। কাজেই মৃত্যুর পরে আমার মৃতদেহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করার জন্য আমার স্ত্রী ও কন্যাদের নির্দেশ দিচ্ছি।’
গত ১৮ আগস্ট আবদুল মতিনকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর স্ট্রোক করেছিল।
এর এক দিন পরই আবদুল মতিনকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ আগস্ট তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেন নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক আফজাল হোসেন। অস্ত্রোপচারের পরও তাঁর অবস্থা অনেকটা অপরিবর্তিতই ছিল। গত কয়েক দিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। বিএসএমএমইউতে ভর্তির পর থেকে তিনি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৪ অক্টোবর থেকে তাঁকে কৃত্রিম শ্বাস–প্রশ্বাস ব্যবস্থায় (লাইফ সাপোর্ট) রাখা হয়েছিল। আজ সকাল নয়টায় তা খুলে নেওয়া হয়।