পিটারসেনের গোমর ফাঁস এক ই-মেইলে
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাজঘরের সংস্কৃতি নিয়ে অভিযোগ তুলে এই মুহূর্তে আলোচনার তুঙ্গে কেভিন পিটারসেন। কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, সতীর্থ গ্রায়েম সোয়ান, ম্যাট প্রায়রের মতো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বাজে আচরণের অভিযোগ তুলে বিতর্কের জন্ম দেওয়া পিটারসেন এখন ধরাশায়ী ফাঁস হওয়া এক ই-মেইল বার্তায়। কোচ ফ্লাওয়ারের খসড়া করা এই ই-মেইল বার্তায় রয়েছে ইংল্যান্ড ড্রেসিং রুমে পিটারসেনের আচার-ব্যবহারসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য।
ক্রিকইনফো প্রকাশিত এই ই-মেইল বার্তাটিকে ‘অফিসিয়াল’ বলতে অবশ্য আপত্তি আছে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি)। তবে ফাঁস হওয়া এই ই-মেইল বার্তাটি যে দুদিন ধরে পিটারসেনের তোপের মুখে থাকা খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের স্বস্তি দেবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
পিটারসেন যে এই ই-মেইল বার্তায় যথেষ্ট বিব্রত, এটা ফুটে উঠেছে তাঁর মন্তব্যেই, ‘আমি শুনেছি এই মেইলের কথা। এটা খুবই বিব্রতকর। ব্যাপারটা এতটাই বিব্রতকর যে, এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।’
ফাঁস হওয়া ই-মেইলে পিটারসেনের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু তথ্যও পাওয়া গেছে। একটা জায়গায় লেখা আছে পিটারসেন নাকি বলেছিলেন, ‘ইংল্যান্ডের বর্তমান দলটির সাজঘর সংস্কৃতি আমার দেখা সবচেয়ে সেরা।’
ঘটনাটির বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে ওই ই-মেইলে। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে শততম টেস্টে মাঠে নামায় রেওয়াজ অনুযায়ী তাঁর জন্য একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর জন্য বিশেষ পুরস্কারেরও ব্যবস্থা করা হয়। পুরস্কার হাতে নিয়ে নিজের বক্তব্যেই নাকি সাজঘর সংস্কৃতি নিয়ে ওই ইতিবাচক মন্তব্যটি করেছিলেন পিটারসেন।
এর পাশাপাশি ই-মেইলে পিটারসেনের বিভিন্ন নেতিবাচক আচরণের বর্ণনাও উঠে এসেছে। অ্যালিস্টার কুকের অধিনায়কত্ব নিয়ে বাজে মন্তব্য। দলের তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে মুখ খারাপ, বাজে শট খেলে ‘কিছুই হয়নি’ ভাব করে সাজঘরে ফেরা, সতীর্থদের সঙ্গে অযথাই ঝগড়া বাধিয়ে দেওয়া—পিটারসেনের এমন অনেক আচরণই ওই ই-মেইলে উঠে এসেছে স্পষ্টভাবেই।
পিটারসেন-বিতর্ক এখন কোন দিকে মোড় নেবে, কে জানে!