লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ হজ্জ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্বের অবসান ঘটান। এর পরপরই আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময়ে লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেন। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে, এমনকি শাসক দলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ৩ অক্টোবর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বাদ পড়লেও সাংসদ থাকছেন লতিফ
আজকের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রী পদের নিয়োগের অবসান ঘটানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের (১) দফার (গ) উপদফা অনুসারে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রী পদের নিয়োগের অবসান ঘটানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এর ভিত্তিতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এদিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রীর পদে অন্য কাউকে নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকবে।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকেরা জানান, লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করেছে বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কেন—জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
শিগগিরই মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশু রদবদলের তথ্য তাঁর জানা নেই।
লতিফ সিদ্দিকীকে ‘কী’ কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়টি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, কারণ উল্লেখ করা হয়নি। উল্লেখের আবশ্যকতাও নেই। সংবিধানেও এ বিষয়ে বলা নেই।