চার শহরে ক্ষমতাসীনদের ভরাডুবি

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস বাকি থাকতে চার সিটি কর্পোরেশনের ভোটে ভরাডুবি হয়েছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীদের।

সিলেটে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী, বরিশালে আহসান হাবিব কামাল, রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও খুলনায় মনিরুজ্জামান মনি বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

চার শহরেই গত মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করা চার আওয়ামী লীগ নেতা পরাজিত হয়েছেন ১৭ থেকে ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য এই পরাজয়কে দেখছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে মহোজোট সরকারের জন্য একটি ‘সতর্ক সংকেত’ হিসাবে। আর এই বিজয়কে বিএনপি বলছে সরকারের বিরুদ্ধে ‘জনগণের বিপ্লব’।

ফল ঘোষণার পরপরই চার শহরে বিজয়ী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণও করা হয়।

রাজশাহীতে পরাজিত প্রার্থীর উত্তেজিত সমর্থকরা মিছিলের চেষ্টা করলেও তৎপর র‌্যাব সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। তবে বাকি তিন শহরে ফল ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন দলের ‘হতাশ’ নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি।

নির্বাচনে দেয়া ‘জনগণের রায়’ মেনে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন  প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

প্রধান দুই রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরকারের ‘নির্দলীয়’ এ নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ায় সারা দেশেই তৈরি হয় টান টান উত্তেজনা। অবশ্য প্রধান দুই দলের বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত নির্বাচনী মাঠে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার বিষয়টিকে ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসাবে নিয়ে নির্বাচন কমিশনও তৎপর ছিল।

বড় কোনো গোলযোগ ছাড়াই শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে স্বতস্ফূর্ত ভোটগ্রহণ চলে। চার শহরে ১২ লাখেরও বেশি ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৯ শতাংশ এদিন নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দেন।

বিকাল ৫টার পরপরই চার সিটিতে ইভিএমে ভোট হওয়া কেন্দ্রগুলোর ফল ঘোষণা করা হয়। এরপর রাত আটটার দিকে অন্যান্য কেন্দ্রের ফল আসা শুরু করে।

সবার আগে, রাত ১১টার দিকে চূড়ান্ত ফল আসে সিলেটে। এরপর একে একে বরিশাল ও সিলেটের ফল ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ রাত পৌনে ২টার দিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

সিলেট SylhArifurসিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

১২৮ কেন্দ্রের সব কটির ফলাফলে আরিফ টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৩০ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২ হাজার ১৭৩ ভোট।

সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম এজহারুল হক জানান, এ নির্বাচনে মোট  ১ লাখ ৮০ হাজার ৫২৫টি বৈধ ভোট পড়েছে। এ শহরে ভোটার ছিলেন মোট ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন। অর্থাৎ সিলেটে প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

 

 

বরিশাল

Kamalbarisবরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ১৭ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বিদায়ী মেয়র শওকত হোসেন হিরনকে পরাজিত করেছেন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান রাত ১২টার দিকে এই ফল ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, ১০০টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফলাফলে আনারস প্রতীক নিয়ে কামাল পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৭৫১ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরন টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৭৪১ ভোট।

বরিশালের ১০০টি কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ১১ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ২৯৯টি। অর্থাৎ, ভোট পড়ার হার ৭২ দশমিক ১ শতাংশ।

 

রাজশাহী

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

শনিবার রাত ১টা ২০ মিনিটে রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার ১৩৭টি কেন্দ্রের সবকয়টির চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন।

এর মধ্যে বুলবুলের আনারস প্রতীক পেয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী লিটনের তালা প্রতীক পেয়েছে ৮৩ হাজার ৭২৬ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, রাজশাহীতে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৭ জন। আর নির্বাচনে বৈধ ভোট পড়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৫৭৫। ভোটের হার ৭৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।

 

খুলনা

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি বিজয়ী হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

২৮৮টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফলাফলে আনারস প্রতীকে মনি পেয়েছেনে এক লাখ ৮০ হাজার ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তালা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৪২২ ভোট।

এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুক বেসরকারিভাবে মনিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

শনিবার যে চারটি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার ছিল খুলনায়। মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ৩ লাখ ২ হাজার ৫১৯টি ভোট পড়েছে। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ।

 

 স্বতঃস্ফূর্ত ভোট

ভোট চলাকালে বরিশালে দুই মেয়র প্রার্থীর উপস্থিতিতে সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি এবং খুলনায় রাতে র‌্যাবের একটি

voteগাড়িতে বিএনপিকর্মীদের হামলা ছাড়া বড় কোনো গোলযোগ ঘটেনি।

তবে খুলনায় একটি কেন্দ্রে হট্টগোলে পালাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বরিশালে একটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়র প্রার্থীর সামনেই তাদের সমর্থকরা প্রথমে বাক বিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতিতে লিপ্ত হলে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ এক ঘণ্টা বন্ধ রাখেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।

এছাড়া ভোটারের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ানোয় সিলেটে এক নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নেয় নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় নির্বাচনের বছর এই চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোট চলে উৎসবমুখর পরিবেশে। বুথ চালু হওয়ার আগেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যায়। নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিলে লক্ষণীয়।

সকালে বৃষ্টির মধ্যেও রাজশাহী ও বরিশালে ভোট চলতে দেখা যায়।

বিরোধী দলের দাবি থাকলেও স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়নি, তবে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন ছিল।

এই চার সিটি কর্পোরেশনের একটি করে ওয়ার্ডে মোট ১৩টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে কারো কারো সমস্যা হলেও অধিকাংশই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

ভোটের খতিয়ান

supportনির্বাচনী কর্মকতারা যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, চার শহরের প্রায় ১২ লাখ ভোটারের মধ্যে ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫৩ জন ব্যালটে তাদের মতামত জানিয়েছেন।

এদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ ভোট গেছে বিএনপি-জামায়াত জোট সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন ৪০ শতাংশের মোত ভোট। বাকি ১ শতাংশ ভোট পড়েছে অন্যান্য প্রার্থীদের পক্ষে।

প্রধান দুই দলের প্রার্থীরা ছাড়া রাজশাহীতে সাবেক জামায়াত কর্মী হাবিবুর রহমান, সিলেটে ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন রিমন, বরিশালে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন এবং খুলনায় জাতীয় পার্টির  জেলা (এ) শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট মোট ভোটের ৩৩ শতাংশের মতো পায়। আর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মোহাজোট মোট ভোটের ৪৯ শতাংশ পেয়ে সরকার গঠন করে।

 

 

‘তত্ত্বাবধায়কে সমর্থন’ বনাম ‘সতর্ক সংকেত’

নির্বাচনে বিজয়ের পর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা নগরীর উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবির বিষয়টিকেও সামনে এনেছেন।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি যে আন্দোলন করছে, তাতে জনগণের সমর্থনের প্রকাশ ঘটেছে এই ভোটের ফলাফলে।

বরিশালে আহসান হাবিব কামালও বলছেন, তার এ বিজয় আসলে ‘রাজনৈতিক’।

তিনি এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “এটা স্থানীয় নির্বাচন বটে। এ শহরে বিএনপির প্রভাব বেশি। তারপরও দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এ নির্বাচনের বাইরে নয়। আমি রাজনৈতিক কারণেই বিজয়ী হয়েছি।”

রাজশাহীতে নির্বাচিত মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন,  গত চার বছরে ‘সরকারের ব্যর্থতার ফল’ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে।

রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবস্থান জানতে চাইলে বুলবুল বলেন, “গণতন্ত্রের সহিষ্ণু পরিবেশের ব্যত্যয় ঘটায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে কাজ করতে চাই।”

সিলেটে দুইবারের মেয়র কামরানকে হারিয়ে নির্বাচিত হওয়া  আরিফুল হক চৌধুরী ফলের পর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি দলমত নির্বিশেষে সবার মেয়র হতে চাই। জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।”

নগরীর উন্নয়নে বিদায়ী মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর আগ্রহের কথাও জানান তিনি।

ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই হার স্বীকার করে নিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান সিলেটের বিদায়ী মেয়র কামরান। আর রাজশাহীতে স্পষ্ট ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন,  নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণার আগেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে, বিশেষ করে টেলিভিশনে ‘আগাম তথ্য’ দেয়ায় ফলাফল প্রভাবিত হচ্ছে।

তবে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর তার আর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিএনপি শনিবার রাতে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন,  জনগণ চার সিটি কর্পোরেশনে ভোটের মাধ্যমে ‘নিরব বিপ্লব’ ঘটিয়েছে।

ObaidulFacebভোটের ফলাফল নিয়ে উল্লাসিত না হয়ে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ‘ধৈর্য্য ধরারও’ আহ্বান জানান তিনি।

অন্যদিকে  চার সিটি কর্পোরেশনের সবকটিতে এই পরাজয়কে সরকারের জন্য ‘সতর্ক বার্তা’ বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের।শনিবার রাতে তার ফেইসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে লেখা দেখা যায়, “ওয়েক আপ কল ফর দ্যা রুলিং পার্টি…।”

ফিরে দেখা ২০০৮

বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট ছবিসহ ভোটার তালিকায় রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আগের নির্বাচনটি হয়।

বিএনপি বর্জনের ঘোষণা দিলেও স্থানীয় বিএনপি নেতারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ওই নির্বাচনে অংশ নেন। তাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরাই জয়ী হন।

সিলেটে কারাবন্দি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ৮৩ হাজার ৩৩৯ ভোটের বিপুল ব্যবধানে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালকে হারিয়ে পুনর্নির্বাচিত হন ওই নির্বাচনে।

বরিশালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে মেয়র হন শওকত হোসেন হিরণ। ৫৮৮ ভোটের ব্যবধানে তিনি হারান পিডিপির এস শরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুকে।

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন যুবদলের তখনকার মহানগর সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে ১৩ হাজার ৮১০ ভোটের পেছনে ফেলে বিজয়ী হন।

আর খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার আব্দুল খালেক বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনিকে হারান ২৫ হাজার ৮৩৬ ভোটের ব্যবধানে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ