ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৭২ ঘণ্টা সময় দিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ স্নাতকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল তাঁদের দাবির পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। পরে অপরাজেয় বাংলার কাছে এক সমাবেশে তাঁরা সময় বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী ২৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক গণজমায়েত করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। একটি অংশ রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সবাই অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী এসে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ব্যানার কেড়ে নেন। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের চারপাশ ঘিরে ছিল।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। পরে প্রক্টর তাঁদের প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে উপাচার্য কার্যালয়ে যান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সালমান, তানজীদ, রিয়াজ, সুইটি, সুমাইয়া ও রাজু। সেখানে শেষবারের মতো দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবির পক্ষে ছয়টি যুক্তি উল্লেখ করে ‘দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীবৃন্দ’ উপাচার্যের হাতে স্মারকলিপি জমা দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় প্রতিনিধিদলকে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নতুন সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে ওই সিদ্ধান্ত¯দেওয়া হয়েছিল। একজন উপাচার্য সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এ কথা বলতেই পারেন। এ জন্য তোমরা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম তুলবে না, তাহলে তো তোমাদের উচ্চশিক্ষার কোনো ইচ্ছাই নেই।’ স্মারকলিপিতে কেউ স্বাক্ষর না করায় উপাচার্য প্রথমে এটি গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরে এটি রেখে দেন।
জানতে চাইলে উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘উপাচার্য নন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত¯নিয়েছে। এ বছরও দ্বিতীয়বার ভর্তির কারণে আমাদের অনেক আসন ফাঁকা থাকবে। তাই এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না।’