আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানসিক সক্ষমতা পরীক্ষা দরকার : মিজানুর
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যাঁরা অস্ত্র বহন করেন, তাঁরা দায়িত্বপালনে মানসিকভাবে সক্ষম এবং প্রস্তুত কি না—তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক শাহ আলমকে দেখতে গিয়ে মিজানুর রহমান এ কথা বলেন। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে তাঁকে গুলি করে সন্ত্রাসী সাজানোর অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।
মিজানুর রহমান বলেন, দেশের সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ রকম নির্মম আচরণ করতে পারে না। সাপ্তাহিক না হলেও অন্তত মাসে একবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যাঁরা অস্ত্র বহন করেন, তাঁদের পরীক্ষা করে দেখতে হবে। তাঁরা মানসিকভাবে দায়িত্বপালনে সক্ষম ও প্রস্তুত কি না—তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কারণ তাঁদের মানসিক চাপে যদি এমনটা ঘটে তাহলে তা দুঃখজনক।
মিজানুর রহমান অতীতের কথা মনে করে বলেন, ‘এই হাসপাতালে বছর দুয়েক আগে লিমনের সঙ্গে অনুরূপ একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম। আমরা সোচ্চার হয়েছিলাম। রাষ্ট্র বাধ্য হয়েছে তার মামলা প্রত্যাহার করে নিতে।’
মিজানুর রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি অন্যায় আচরণের বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখানে কোনো ধরনের ছলচাতুরী, কোনো ধরনের মিথ্যা বা বানোয়াট খেলা কমিশন সহ্য করবে না।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার কাউন্সিলে বসব, মানবাধিকারের কথা বলব আর রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করব না, এমন দ্বিমুখী আচরণ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, শাহ আলমের দুটি পা রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।