বাড়িতেই রাখা হয়েছে গোলাম আযমের মরদেহ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা ও গণহত্যার প্রতীক গোলাম আযমের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আজ শুক্রবার সকালে তাঁর স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। ঢাকার মগবাজারে নিজ বাসার গ্যারেজে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত একটি লাশবাহী গাড়িতে তাঁর মরদেহ রাখা হয়েছে।
গোলাম আযমের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মগবাজারে গোলাম আযমের বাসার সামনে সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিকভাবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত মরদেহ সেখানেই থাকবে। বিকেলের দিকে পরিবারের সদস্যরা বৈঠক করবেন। লাশ কোথায়, কখন দাফন করা হবে—এ ব্যাপারে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গোলাম আযমের ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গোলাম আযমের বড় ছেলে আবদুল্লাহ হিল আমান আজমীর কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ সেখান থেকে মগবাজারে তাঁর নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে গোসল করানোর পর পরিবার ও স্বজনেরা তাঁর মরদেহ দেখেন। পরে মরদেহটি বাসা থেকে নিচে নামানো হয়। জামায়াতের নেতারা মরদেহ দেখেন। গোলাম আযমের পারিবারিক সূত্রে তখন জানা যায়, মরদেহটি কোনো হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। গোলাম আযমের ছয় ছেলের মধ্যে পাঁচ ছেলেই দেশের বাইরে রয়েছেন। তাঁরা দেশে ফিরলে লাশ দাফন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সকালে আমাদের ঢাকা মেডিকেল সংবাদদাতা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য গোলাম আযমের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সেখান থেকে আজ সকাল সাতটা ৪০ মিনিটে স্বজনেরা তাঁর লাশ নিয়ে যান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজা খাটা অবস্থায় মারা যান গোলাম আযম। গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গোলাম আযমকে ৯০ বছরের সাজা দিয়েছিলেন। রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, তাঁর অপরাধের মাত্রা ছিল মৃত্যুদণ্ডযোগ্য। কিন্তু বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে এই সাজা দেওয়া হয়।
গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকি ৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।