২৭ জুন গৌতম হত্যার রায়
আদালত রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রায় আট বছর পর সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যামামলার রায় হতে যাচ্ছে। মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বুধবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আগামী ২৭ জুন রায়ের দিন ঠিক করেছেন।
দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতমকে ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর তার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
সমকালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কার কাজ নিয়ে গৌতমের ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো।
এই মামলায় আসামি ১০ জন। এর মধ্যে প্রধান আসামি আসিফ ইমরানকে গত ১৬ মে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্য আসামিদের মধ্যে আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, আসাদ বিন কাদির, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, তামজিদ হোসেন বাবু, রাজিব হাসান মিয়াকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে আবু তাহের মতুর্জা ওরফে এপোলো পলাতক। বাকি আসামি জাহিদ খান মারা গেছেন।
প্রায় সব আসামির বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলার আদালতে বিচারাধীন।
নিহত গৌতমের স্ত্রী দীপালি সাহা এবং মামলার বাদি সাংবাদিক হাসনুজ্জামান দীর্ঘ রায়ের তারিখ ঠিক হওয়ার কথা শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
স্পর্শকাতর মামলা বিবেচনায় সরকার ২০০৬ সালের ৬ এপ্রিল মামলাটি ফরিদপুরের আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়।
এরপর ১ অগাস্ট মামলার নথি এই ট্রাইবুনালে আসে দ্রুত বিচারের জন্য।
আলোচিত এ মামলায় ৩০টি তারিখ পড়ে শুধু যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য।
মোট চারজন বিচারকের হাত ঘুরে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে বলে এবিসি নিউজ বিডিকে জানিয়েছেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া।
এ মামলাটি রায়ের পর্যায়ে চলে আসা অবস্থায় বিচার বিলম্বের উদ্দেশ্যে আসামিপক্ষ বার বার নানা অজুহাতে শুনানি মুলতবি চেয়েছিলো বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
এ মামলায় ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০০৭ সালের ১৩ নভেম্বর আসামি পক্ষ এ মামলাটির বিচারের ওপর হাই কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলো। পরে সে আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।প্রধান আসামি আসিফ ইমরান হাই কোর্ট থেকে পাওয়া জামিনের আদেশ নিয়ে নিম্ন আদালতকে বিভ্রান্ত করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি আবু আবদুল্লাহ এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, ছয় বছর আগে ২০০৮ সালে হাই কোর্ট ছয় মাসের জন্য আসিফ ইমরানকে জামিন দিয়েছিলো।
জামিনের মেয়াদ পার হওয়ার পরও আসামি মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিম্ন আদালতে বিভ্রান্ত করেছিলেন বলে এই আইনজীবী জানান।
তিনি বলেন, “কিন্তু কয়েকদিন আগে হাই কোর্ট থেকে জামিন বিষয়ে একটি আদেশ আসার পর সব কিছু ধরা পড়ে।”
এ মামলাটির বিচার শুরু হয়েছিলো শাহেদ নূরউদ্দিনের আদালতে। তবে সাক্ষ্য গ্রহণের এক পর্যায়ে তিনি ঢাকার এ আদালত থেকে বদলি হলে একে একে তিনজন বিচারক এর শুনানি নেন।
শাহেদ নূর উদ্দিন এই আদালতে ফিরে আসায় এখন রায় দেবেন তিনিই।