বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার আরো গতিশীল করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার ধীর গতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাইপলাইনে থাকা বৈদেশিক সাহায্যের সঞ্চিতি ও ইহার ব্যবহার সম্পর্কিত প্রতিবেদন অবহিত করা হয়। বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার আরো গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
‘বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার ধীর গতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ বা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কি না’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার খুব ধীর গতি তা নয়। তবে এর আরো গতিশীলতা প্রয়োজন বলে মন্ত্রিসভা মনে করে। তাই আরো গতিশীল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রিসভার একটি সূত্র জানায়, পাইপ লাইনে থাকা বৈদেশিক সাহায্যের সঞ্চিতি ও এর ব্যবহার সম্পর্কিত প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি প্রতিবেদন মন্ত্রিসভাকে অবহিত করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পরামর্শক ও জনবল নিয়োগ, পন্য সেবা সংগ্রহ, ডিপিপি/পিপিপি প্রণয়ণে বিলম্ব এবং ভূমি অধিকরণে জটিলতাসহ পাঁচ কারণে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে প্রায় ৬ বছর লেগে যাচ্ছে। এসব কারণে পাইপ লাইনে বৈদেশিক সাহায্যের সঞ্চিতির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ১৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বৈদেশিক সাহায্য সঞ্চিত আছে। বিভিন্ন সময়ে এটা বেড়েছে। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ৮৬ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন বৈদেশিক সহায়তা এসেছে। এখন প্রায় ৬৮ বিলিয়ন ডলার পাইপ লাইনে আছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ইআরডি হিসেব করে দেখেছে, গড়ে প্রতিবছর ১৮ শতাংশ অর্থ ছাড় হয়। বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ঠ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হতে প্রায় ছয় বছর লাগবে। ইআরডি এসময় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ক্রমান্নয়ে ২৫ শাতাংশে নিয়ে আসতে চায় ইআরডি। এটি করাগেলে প্রকল্পের কাজ ৪ বছওে শেষ করা যাবে।’
মন্ত্রিসভার সূত্র আরো জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার ধীর গতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এতে আরো গতিশীলতা আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন।