লতিফকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে দুই জনের দুই কথা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করার আইনি দিক নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকী এখনো সাংসদ পদে বহাল। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হলে স্পিকারের অনুমতি লাগবে। অন্যদিকে স্পিকার বলেছেন, লতিফকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে তাঁর (স্পিকার) অনুমতির দরকার নেই।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনি জটিলতার কারণে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। স্পিকারের অনুমতি ছাড়া একজন সাংসদকে গ্রেপ্তার করা যায় না।
নিরাপদে বিমানবন্দর ছাড়লেন লতিফতবে বিকেলে সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী শুধু সংসদ লবি, সংসদ গ্যালারি ও চেম্বার থেকে কোনো সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া কোনো অনুমতি লাগে না।
গতকাল বোববার রাতে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং বিমানবন্দর থেকে তাঁকে নিরাপদে চলে যেতে সহায়তা করা হয়েছে।
লতিফ সিদ্দিকী গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হজ, তাবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। অপসারণের আগে তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই কারণে তাঁকে দলীয় পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।