সার্কের অবকাশ কর্মসূচিতে যোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী

sheikh shekh hasina শেখ হাসিনাসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮তম সার্ক সম্মেলনের অবকাশ কর্মসূচিতে যোগ দেননি। আজ বৃহস্পতিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ধুলিখেল শহরে সম্মেলনে যোগ দেওয়া শীর্ষনেতাদের জন্য এই অবকাশের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রী ধুলিখেলে যাননি। তিনি আজ বিকেলে কাঠমান্ডু সিটি হয়ে অনুষ্ঠিতব্য ১৮তম সার্ক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি হেলিকপ্টারে করে কাঠমান্ডু থেকে ধুলিখেলে যান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে সেখানে যান। বাকি ছয় নেতা নেপালের বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে যান।

ধুলিখেলে সার্ক নেতারা আঞ্চলিক বিষয়ের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। সেখান থেকে ফিরে সম্মেলনের সমাপনী সভায় তাঁদের যোগ দেওয়ার কথা।

কাঠমান্ডুতে গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য নিবিড় সংহতি’র প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সার্কের আট দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে বিদায়ী চেয়ারম্যান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর রীতি অনুযায়ী তিনি স্বাগতিক দেশ নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার হাতে দায়িত্ব দেন।

প্রায় তিন দশক হয়ে গেলেও সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও উন্নয়নে নিজেদের হৃদ্যতা বাড়ানোর তাগিদ থাকে সব সার্ক শীর্ষ সম্মেলনেই। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয় না। এমন বাস্তবাতার মধ্যেই চলছে এবারের শীর্ষ সম্মেলনটি।

আজ কাঠমান্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হবে। পরবর্তী সম্মেলন হবে পাকিস্তানে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ