ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের চাপায় আজ রোববার এই প্রতিষ্ঠানেরই এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা অন্তত ১৫টি বাসে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আজ সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে ও ছাত্রীদের আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহত ছাত্রের নাম তৌহিদুর রহমান টিটু। তিনি বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বাসচাপায় ছাত্র নিহত, অন্তত ১৫ বাসে ভাঙচুর-আগুন
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা একটি বাস শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে ঝিনাইদহ যাচ্ছিল। সেই বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন তৌহিদুর। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরের সড়কে আরেকটি বাস ঝিনাইদহগামী বাসটিকে অতিক্রম করতে গেলে বাসের ধাক্কা লেগে তৌহিদুর মাটিতে পড়ে যান। এরপর বাসের একটি চাকা তাঁর মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা অন্তত ১৫টি বাসে ভাঙচুর ও আগুন দেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর চালান। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের চেষ্টা করেন।
এরপর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপাচার্য আবদুল হাকিম সরকার বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বাস দেন তিনি।