গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকতে পারে না: গওহর রিজভী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকতে পারে না। সভ্যতার ভিত্তি হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিলে কোনো সমাজ উন্নতি করতে পারবে না। তাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া উচিত নয়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান–২০১৪ অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার গওহর রিজভী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট’ শিরোনামের এই আলোচনায় গওহর রিজভী বলেন, গণমাধ্যম নিজেরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ না করলে ভয়ংকর বিষয় সামনে চলে আসে। তখন অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তাই সংবাদকর্মী বা গণমাধ্যম নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গণমাধ্যমের কর্মীদের চেয়ে বেশি ভোগ করেন গণমাধ্যমের মালিকেরা। মালিকদের স্বার্থ রক্ষা না হলে কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়। তাই নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমকে উদ্যোগ নিতে হবে, কীভাবে মালিকদের নিয়ন্ত্রণ কমানো যায়।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, জনপ্রতিনিধিরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। আর গণমাধ্যমকে প্রতিদিনই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতে হয়। পত্রিকা ও টেলিভিশনকে প্রতিদিনই জনগণের পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। মানুষ তথ্যনির্ভর সংবাদ না পেলে সেই গণমাধ্যম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। রিমোট টিপে অন্য চ্যানেলে চলে যায়। তাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব ও জবাবদিহি অনেক বেশি। ব্যক্তির সার্বভৌমত্ব রক্ষা না হলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত থাকবে না। তাই ব্যক্তিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন টিআইবির প্রধান নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য সাংবাদিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গওহর রিজভী। পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিকেরা হলেন খুলনার দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার প্রতিবেদক এইচ এম আলাউদ্দিন, অরূপ রায় ও এসএ টিভির সাজ্জাদ পারভেজ। পুরস্কার হিসেবে এঁদের প্রত্যেককে ৮০ হাজার টাকার চেক ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুরস্কৃত হয়েছেন এসএ টিভির তিন ক্যামেরাম্যান কামরুল হাসান সেলিম, আবদুল্লাহ আল মামুন ও সালাউদ্দিন তারেক। এঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।