রাসায়নিক নয়, জৈব সার ব্যবহারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Shekh hasinaসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ কৃষিজমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কৃষকেরা রাসায়নিক সার বিশেষ করে ইউরিয়া সারের ওপর বেশি নির্ভরশীল। এসব রাসায়নিক সার ব্যবহারে জমির গুণাগুণ নষ্ট হয়। তাই জমির গুণাগুণ ধরে রাখতে জৈব সার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এ জন্য কৃষকদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে জমির মাটি পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী জৈব ও গুটি ইউরিয়া সারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগে বরিশালকে শস্যভান্ডার বলা হতো। কিন্তু এখন দেখা যায়, উত্তরবঙ্গে বেশি ফসল উৎপাদন হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের চাষিরা সেচের ওপর বেশি নির্ভর করে বোরো ফসল উৎপাদন করে থাকেন।’ এ ক্ষেত্রে বোরো মৌসুমের ওপর বেশি নির্ভরশীল না হয়ে আউশ-আমন মৌসুমে চাষাবাদ বাড়াতে পরামর্শ দেন তিনি। অল্প সেচে অধিক উৎপাদন পেতে ভুট্টা, গম ও তেলবীজ উৎপাদনের ওপরই গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। জাতির পিতা সব সময় এ দেশের কৃষকদের অন্তর দিয়ে ভালোবাসতেন। তাঁদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্যই এ স্বাধীনতা সংগ্রাম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের উৎসাহিত করতে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল গঠন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তী সময় ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিলের নাম কয়েক দফা পরিবর্তন করে। এ পুরস্কার বিতরণের বিষয়টিও ঝিমিয়ে পড়ে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার এ তহবিল আবারও গঠন করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল ছিল বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিল। দুর্ভাগ্য আমাদের, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আমরা সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়ি।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আবার আমরা জয়ী হই ও ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি। এরপর আমরা বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল পুনর্গঠন করি ও তার পর থেকে নিয়মিত আমরা এ পুরস্কার দিয়ে যাচ্ছি।’

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, কৃষি খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৩০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪১৯’ প্রদান করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে রূপা ও ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ