পাঁচ মাসে এডিপির ২১ শতাংশ বাস্তবায়ন

Govt-logo-sm20130204080728সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ২১ শতাংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। যার অর্থমূল্য ১৫ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার এডিপি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ব্যয়ের পাঁচ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকার প্রকল্পও এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮৬ হাজার কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

আজ রোববার পরিকল্পনা কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এডিপি বাস্তবায়ন পরিস্থিতির এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে। এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ তথ্য হালনাগাদ করে থাকে।

গত অর্থবছরের একই সময়ে ২০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১৩ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। গতবার পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন এডিপির আকার ছিল ৬৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা।

বাস্তবায়ন
প্রথম পাঁচ মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো টাকা খরচ করতে পারেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্পে ৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
অন্যদিকে বরাদ্দের ১০ শতাংশের কম খরচ করেছে আরও ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলো হলো: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি), পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, আইএমইডি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পাবর্ত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সেতু বিভাগ।
এদিকে বরাদ্দ পাওয়া শীর্ষ ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে চলতি এডিপির ৬৫ হাজার ১৬১ কোটি টাকা রয়েছে। জুলাই-নভেম্বর মাসে এসব মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যা প্রায় বরাদ্দের প্রায় ২১ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্প পরিচালক বদলে কাজের অনেক সমস্যা হয়। এখন থেকে পরিচালক বদলের আগে পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ সারা বছরই হয়, কিন্তু প্রথম দিকে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করে না বাস্তবায়নকারী সংস্থা। ফলে এডিপির বাস্তবায়ন হার কম দেখা যায়, কিন্তু মাঠের চিত্র ভিন্ন। শেষ তিন মাসে ঠিকাদারদের বিল দেওয়া হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একদম দিনক্ষণ দিয়ে বলা যাবে না এই প্রকল্প কবে শেষ হবে। তবে আমি আশাবাদী, আগামী অর্থবছরের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ১১ ধরনের সমস্যা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো: ভূমি সমস্যা, কর্মপরিকল্পনা তৈরি না করা, নির্মাণ ক্ষেত্রে রেট শিডিউল বারবার পরিবর্তন, স্থাপনার অসর্ম্পূণ নকশা প্রণয়ন, পরামর্শক নিয়োগে বিলম্ব, ঘন ঘন প্রকল্প পরিচালক বদল, জনবল নিয়োগে বিলম্ব, প্রকল্প প্রস্তাবে গলদ, দরপত্র-প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, এডিপিতে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ, বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পে অর্থ পাওয়াতে সমস্যা।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ