শ্যালা নদীতে নৌচলাচল বন্ধের সুপারিশ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ অবিলম্বে পূর্ব সুন্দরবনে শ্যালা নদীর নৌ–রুট বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে নদীটিতে সম্প্রতি তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে বেশ হতাশা প্রকাশ করেছে কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
৯ ডিসেম্বর পূর্ব সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী একটি জাহাজ ডুবে যায়। এতে জাহাজটি থেকে সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি ফার্নেস অয়েল সুন্দরবনে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন নদীটির তীরের কাছাকাছি নোঙর করা ওই জাহাজটিকে অন্য একটি পণ্যবাহী জাহাজ ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই দিন রাতেই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে নৌচলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে যে এলাকায় জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার ডুবেছে, ওই এলাকায় নৌরুট স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ করা হয়। ওই বৈঠকের পর নৌ মন্ত্রণালয়ে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ওই সুপারিশ নাকচ করে দেওয়া হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, আপাতত এই নৌরুট স্থায়ীভাবে বন্ধের বিষয়ে তারা ভাবছে না।
আজ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে হাছান মাহমুদ জানান, বৈঠকে শ্যালা নদীতে নৌচলাচল জন্য বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে মংলা-ঘসিয়াখালী-মোরেলগঞ্জ নৌপথটি খনন করে সেখান দিয়ে নৌ চলাচল করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
বৈঠকে কমিটি বলেছে, পূর্ব সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে সাম্প্রতিক এ দুর্ঘটনা পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। এই বিপর্যয়ে পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে, কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবং হবে, তা জরিপ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।