ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মেহদী আজাদ মাসুম, বিশেষ প্রতিনিধি,
ঢাকা : দেশী-বিদেশী বিশিষ্ট শিক্ষাবীদদের নিয়োগে আকর্ষনীয় বেতন-ভাতার সুযোগ রেখে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আইন ২০১৪’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু’র নামে নাম করণ করা যায় কিনা, সে বিষয়ে মন্ত্রিসভা পর্যবেক্ষন দিয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রিসভায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী সম্প্রসারণের প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকের মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আইন ২০১৪’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ আইনটি চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবারো মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হবে। আইন অনযায়ী শিগগিরই গাজীপুর জেলার হাইটেক পার্কের পাশে প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে দেশী-বিদেশী বিশিষ্ট শিক্ষাবীদদের নিয়োগে আকর্ষনীয় বেতন-ভাতার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু’র নামে ‘নাম করণ’ করা যায় কিনা, সে বিষয়ে মন্ত্রিসভা পর্যবেক্ষন দিয়েছে।’
মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আইনের খসড়া তৈরী করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি শক্তিশালী একাডেমিক কাউন্সিল থাকবে। থাকবে দূর শিক্ষা বা অনলাইনে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ।
এছাড়াও মন্ত্রিসভায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী সম্প্রসারণ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ বিষয়ে জানান, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী সম্প্রসারণের কার্যক্রম শুরু হয় চলতি বছরের ৬ মার্চ। এই দিন প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচী কুড়িগ্রাম জেলায় প্রথম উদ্ভোধন করেন।
তিনি আরো জানান, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী সম্প্রসারণের কার্যক্রমের আওতায় প্রশিক্ষনে অংশ নেওয়া প্রতিজন প্রতিদিন ১০০ টাকা করে সম্মানী পাবেন। প্রশিক্ষন শেষে ৩ মাসের মধ্যে কাজে যোগদানের সুযোগ লাভ করবেন। দেশের ১৭টি জেলার ১৭টি উপ-জেলায় দুই বছর এসব কার্যক্রমে ১৭২২ কোটি টাকা খরচের বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।