সংবাদকর্মীদের জন্য নতুন ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি

BFUJসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সরকারি কর্মকর্তা ও সামরিক বাহিনীর জন্য প্রস্তাবিত বেতন কাঠামোর সঙ্গে দেশের সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা এবং সমন্বয়ের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের সভায় এই দাবি জানানো হয় ।
বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সভাপতিত্বে এ সভায় মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল তাঁদের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। সারা দেশের অঞ্চলভিত্তিক গণমাধ্যমের চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, বগুড়া, দিনাজপুর ও নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
সভায় বলা হয়, যেহেতু সরকারি কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনী ও কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক কর্মচারীরা একই সমাজে বসবাস করেন, একই বাজার-ব্যবস্থার মধ্যে দিনযাপন করেন, সেহেতু সবার আয়ের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তা ও সামরিক বাহিনীর জন্য প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের গণমাধ্যমের কর্মীদের বর্তমান বেতন-ভাতা পর্যালোচনা করে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই অবিলম্বে বেতন বোর্ড গঠন করে আগামী জুনের মধ্যেই যাতে বোর্ডের সুপারিশ কার্যকর করা যায়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নে​ওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
সভায় দেশের অনেক সংবাদপত্রে অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ কার্যকর না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় যেসব সংবাদপত্রে এখনো অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি, সেসব সংবাদপত্রে সরকারি ক্রোড়পত্র বন্ধ, সেসব সংবাদপত্রের মালিক-সম্পাদকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করার পাশাপাশি ওইসব মালিক-সম্পাদকেরা যাতে সরকারের কোনো পর্যায়ে সফরসঙ্গী হওয়াসহ কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা না পান, তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বেতন-ভাতা না দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শ্রম আইন না মেনে চাকরিচ্যুতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় সাংবাদিক-শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রম আইন সংশোধনেরও দাবি জানানো হয়।
সভায় সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবি করা হয়।
সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আন্তরিক সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে ধীরগতির কারণে গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর না করায় গণমাধ্যমের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের আইন সংস্কারের জন্য সব প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পরও গত ১৪ মাসে এ বিষয়ে মাত্র একটি বৈঠক হয়েছে এবং তাতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। আইনটি সংশোধন করে কার্যকর করা গেলে ইলেকট্রনিক মাধ্যমের কর্মীদের জন্য ওয়েজ বোর্ড গঠনের জটিলতার অবসান হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ