এবার বন্ধ হোয়াটসঅ্যাপ, মাইপিপল ও লাইন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ভাইবার ও ট্যাঙ্গোর পর হোয়াটসঅ্যাপ, মাইপিপল ও লাইন নামের আরও তিনটি ভয়েস ও মেসেজিং সেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। বিটিআরসি ও টেলিকম অপারেটর সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভাইবার ও ট্যাঙ্গো বন্ধের সময়সীমা ২১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসির পরিচালক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল ফোন কোম্পানি রবির মুখপাত্র মহিউদ্দিন বাবর বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার যেকোনো সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে চলতে হয়। সে অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হয়।’
গতকাল বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে এ সেবা দুটি বন্ধের অনুরোধ পেয়ে বিটিআরসি এ ব্যবস্থা নেয়। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মোবাইলে কথা বললে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সাম্প্রতিক সময়ে যোগাযোগের জন্য ভাইবার ব্যবহার করছেন। এমনকি নাশকতার কাজেও প্রয়োজনীয় যোগাযোগ সারা হচ্ছে ভাইবার ব্যবহার করে। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেবা দুটি বন্ধে বিটিআরসির সহায়তা চায়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিটিআরসি থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয় মোবাইল কোম্পানি ও আইজিডব্লিউগুলোর কাছে।
সে অনুযায়ী শনিবার রাত থেকে ভাইবার ও ট্যাঙ্গো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মুঠোফোন অপারেটর ও বিটিআরসির কর্মকর্তারা গতকাল বলেছিলেন, বিটিআরসির পরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা শনিবার রাতে সব মোবাইল অপারেটর ও আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্সধারীর কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠান। প্রথমে রোববার ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সেবা দুটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে রোববার রাত ১১ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এই সেবা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। রোববার রাত ১১.৫৯ মিনিটের পর ভাইবার চালু করার কথা বলা হলেও আজ সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবে ভাইবার ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন একাধিক ভাইবার ব্যবহারকারী। ভাইবারের মোবাইল সংস্করণে গেলে দেখাচ্ছে ‘ভাইবার সার্ভিস ইজ কারেন্টলি আনঅ্যাভেইলেবল অর বিয়িং ব্লকড’ আর ভাইবারের ডেস্কটপ সংস্করণেও (www. viber. com) ঢুকতে পারছেন না ব্যবহারকারী।বিভিন্ন অনলাইন, ফেসবুকসহ সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমেও ভাইবার ব্যবহার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবহারকারীরা। বাংলাদেশে ভাইবার বন্ধ হওয়ার এই খবর ইতিমধ্যে এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য হিন্দুর মতো সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে।