রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর হামলা
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজধানীর মতিঝিলে রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন আল্লামা ইকবাল রানা, মো. ফরিদ আহমেদ, নেওয়াজ মোরশেদ, শওকত হোসেন, ইসমাইল হোসেন, শামসুল হক ইভান ও তরিকুল ইসলাম। আহত ব্যক্তিদের সবাই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার।
রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার জাহিদুল ইসলামের দাবি, এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। আজ সকালে তিনিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা অফিসে ঢোকার সময় সিবিএ নেতা মোশতাক আহমেদ ও কাবিল হোসেনের নেতৃত্বে কিছু কর্মচারী বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এই কর্মকর্তার দাবি, হরতালে অফিসে এসেছেন বলেই তাঁদের ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়। হামলাকারীরা জামায়াত-শিবির সমর্থক। তাঁদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু কর্মচারীরাও ছিলেন।
তবে ভিন্ন বক্তব্য নিজেকে রূপালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি দাবিকারী মোশতাক আহমেদের। তাঁর দাবি, আজ সকালে বক চত্বরে শ্রমিক লীগের হরতালবিরোধী সমাবেশে ছিল। ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবব উল আলম হানিফেরও থাকার কথা ছিল। তাঁরা সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য রূপালী ব্যাংকের সামনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় প্রিন্সিপাল অফিসারদের একটি দল তাঁদের বলে, এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? কোথায় যাবেন? শ্রমিক লীগের সমাবেশে যাবেন জানালে, ওই কর্মকর্তারা বলেন কিসের শ্রমিক লীগ? আওয়ামী লীগ আছে নাকি? ওই কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে দাবি মোশতাক আহমেদের। এ সময় তাঁর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাবিল আহমেদ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত বলে তাঁর দাবি। তবে তিনি হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন।
মতিঝিল থানার পেট্রল ইন্সপেক্টর শেখ আবুল বাশার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে পুলিশের ধারণা, এই দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা থাকতে পারে, সে কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে।