খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হয়নি বি. চৌধুরীর
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গেলেও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরীর (বি. চৌধুরী)। তিনি নিজেই সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আজ রোববার বেলা দুইটা ২০ মিনিটে বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানকে নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে যান বি. চৌধুরী। সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন বেলা তিনটায়। বেরিয়ে এসে বি. চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুতে রাখা শোকবইতে স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ভেতরে দেখলাম, ম্যাডাম ঘুমোচ্ছেন। তাঁর শরীর খারাপ, আমাদের সঙ্গে সরাসরি কোনো কথা হয়নি।’
এর আগে নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বি. চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, সাত দিনের মধ্যে দুই নেত্রীকে সংলাপ বা আলোচনায় বসতে হবে। তাঁরা আলোচনায় না বসলে দেশের জনগণকে নিয়ে তিনি গণ-অনশন শুরু করবেন। তিনি বলেন, যেভাবে দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, দুই নেত্রী যা করছেন, তা দেশের জন্য ভালো হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ভেঙে যাচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এমন কোনো আন্দোলন আমরা সমর্থন করি না, যাতে জনগণ কষ্ট পায়। দুই নেত্রীর আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা সমাধানে পৌঁছে যাব।’
গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখা করতে যাওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গেটে তালা থাকাটা যেমন অপরাধ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার পর দরজা খুলে না দেওয়াটাও অপরাধ। প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে দিলে তা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য ভালো হতো।
নির্বাচনপদ্ধতি সম্পর্কে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন হতে পারে, বিশ্বের সব দেশেই তাই হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীকে নিরপেক্ষ হতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘একজন মা তাঁর সন্তান হারিয়েছেন, চিকিৎসক যদি তাঁকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখেন, সে ক্ষেত্রে কারও তাঁর সঙ্গে দেখা করা উচিত না।’ তিনি বলেন, ‘আমি হলেও বলতাম, দেখা করার দরকার নেই।’