কোকোর মৃত্যুতে আ.লীগের শোক

bangladesh Aoamilegue BAL বাংলাদেশ আওয়ামীলীগসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার শান্তি কামনা করে বিএনপি তাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দলটি।

আজ রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

আরাফাত রহমানের মৃত্যুর পরও কর্মসূচি প্রত্যাহার না করা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আশা করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কোকোর আত্মার শান্তি কামনা করে তারা পেট্রলবোমা-সন্ত্রাসী কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে।’ প্রধানমন্ত্রী এরপর খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে গেলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে—বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার পরও অভ্যর্থনা জানায়নি, তাদের বক্তব্যে সত্যের লেশমাত্র নেই।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা তাঁর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। এবং বেগম জিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর আত্মা যেন শান্তিতে থাকে। বেগম জিয়া ও তাঁর পরিবার যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন।’

গতকাল শনিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়ার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৫ আগস্ট জন্মদিন না হওয়া সত্ত্বেও খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। তার পরও সবকিছু ভুলে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী সমস্ত প্রটোকল ভেঙে সমবেদনা জানাতে তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে ছুটে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আগেই বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবর জানিয়ে দিয়েছিল। এরপরই প্রধানমন্ত্রী সেখানে যান। বেশ কয়েক মিনিট প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর গাড়িতে এসেও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার পরও তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। অথচ প্রধানমন্ত্রীকে সৌজন্য দেখিয়ে কেউ অভ্যর্থনা জানাননি। এ ধরনের আচরণ রাজনৈতিক ও সামাজিক শিষ্টাচারবহির্ভূত, অপমানজনক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের লঙ্ঘন।

হাছান মাহমুদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী সেখানে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করেন। আর শিমুল বিশ্বাস বলছেন, শোক বই নিয়ে আসার আগেই নাকি প্রধানমন্ত্রী চলে যান। অথচ খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ফটক থেকে প্রধানমন্ত্রীর দাঁড়িয়ে থাকার স্থানের দূরত্ব ছিল এক মিনিটের পথ। আসলে শিমুল বিশ্বাস শোক বই নিয়ে আসার গল্প সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। বুঝলাম তিনি ঘুমে ছিলেন। কিন্তু বিএনপির অন্য সিনিয়র নেতারা কী প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে পারতেন না? এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে অতীতেও ঘটেনি, হয়তো ভবিষ্যতেও ঘটবে না। এটা বাংলাদেশের সামাজিক শিষ্টাচারে কালো দাগ হিসেবে থাকবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তি নন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠান।’

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ