খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের বিষয়টি আদালতের : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজ বিডি,
ঢাকা : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিশ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়টি আদালতের। আদালতের নির্দেশ পেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকাল ১০টায় ‘বই মেলা ও ২১শে ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ নিয়ে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব, অতিরিক্ত আইজিপি, বিজিবির মহাপরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিশ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বোমা হামলার মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি আদালতের। আদালতের নির্দেশ পেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অনেক বোমরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নির্দেশ দাতাদেরও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
তিনি বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত সার্বিক পরিস্থিতিকে বিবেচনা করেই নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বই মেলা ও ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নির্বিগ্নে পালিত হবে। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, বই মেলার সার্বিক নিরাপত্তায় পুরো মেলাস্থলে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যা ২১শে ফেব্রুয়ারিতে শহিদ মিনারের চারিদিকেও বসানো হবে।
সচিবালয়ে ককটেল হামলার
কথা অস্বীকার প্রতিমন্ত্রীর
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ৭২ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ককটেল হামলার কথা অস্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, হরতাল চলাকালে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সচিবালয়ে একটি এবং একই সময়ে সচিবালয় সংলগ্ন বিদ্যুৎ ভবনের পাশে দুটি ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। সচিবালয়ের ভেতরে ককটেল বিষ্ফোরনের স্থানকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।