নাশকতায় বগি লাইনচ্যুত, ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন বন্ধ
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পেন্ডল ক্লিপ খুলে নেওয়ায় ‘নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পূর্ব গোভানিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনাকে ‘দুষ্কৃতকারীদের নাশকতা’ বলে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মুরাদ হোসেন বলেন, পেন্ডল ক্লিপ খুলে ফেলায় ওই স্থানে ট্রেনটি আসার সঙ্গে সঙ্গে রেললাইনটি সরে যায়। এতে ট্রেনটির ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ইঞ্জিনটি ছিটকে পাশের আরেকটি রেললাইনে পড়ায় ওই পথে রেল রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
মুরাদ হোসেনের দাবি, রাতে ওই লাইনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি। তাই এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের চালক ইউসুফ ও চালকের সহকারী কামাল আহত হয়েছেন। তাঁদের চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রেনের অন্য যাত্রীরা আহত হননি। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা অন্তত ১০ জন আহত যাত্রীকে দেখেছেন।
মুরাদ হোসেনের তথ্যমতে, সকাল সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। কিন্তু উদ্ধারকারী ট্রেনটির টেনে তোলার ক্ষমতা কম হওয়ায় সেটি দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি টেনে তুলতে পারেনি। এ কারণে আরেকটি উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের প্রধান পরিচালন তত্ত্বাবধায়ক (সিওপিএস) মিয়া জাহান বলেন, এ দুর্ঘটনায় পর তিনটি ট্রেন ওই রেলপথে আটকে পড়েছে। তিনটি ট্রেনের সময়সূচি বাতিল করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
ভোররাতে ওই লাইনের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন আনসার সদস্য রবিউল, মোশারেফ ও দেলোয়ার। ভোরে তাঁরা দাবি করেন, ভোররাত সাড়ে তিনটার দকে ওই রেললাইনের ফিশপ্লেট দুটি খোলা দেখতে পেয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার এগিয়ে গিয়ে ওই ট্রেনটিকে থামাতে লাল পতাকা দেখিয়ে থামানোর সংকেত দেন। কিন্তু চালক ট্রেনটি না থামালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।