মানবতাবিরোধী অপরাধে সুবহানের মৃত্যুদণ্ড
আজমী আনোয়ার, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুহাম্মদ আবদুস সুবহানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ১৬৫ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়া শুরু হয়। রায়ে বলা হয়, সুবহানের বিরুদ্ধে আনা নয়টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে এ সাজা দেওয়া হয়।
রায়ের সংক্ষিপ্তসার থেকে জানা যায়, সুবহানের বিরুদ্ধে আনা নয়টি অভিযোগের মধ্যে ১, ৪ ও ৬ নম্বর অভিযোগে সুবহানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁকে ২ ও ৭ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৩ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রমাণ না হওয়ায় ৫, ৮ ও ৯ নম্বর অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়া শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে ট্রাইব্যুনাল এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। পাশাপাশি দোয়েল চত্বর থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর এই মামলায় দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি—কেস অ্যায়োটিং ভারডিক্ট) রাখা হয়। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।
পাবনা জেলা জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আমির সুবহান একাত্তরে দলটির কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর পাবনায় শান্তি কমিটি গঠিত হলে সুবহান প্রথমে ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরে সহসভাপতি হন। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুবহানকে আটক করে। ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।