রাষ্ট্রকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে সরকার
মনির হোসেন মিন্টু, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে এখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারের ভয় দেখাচ্ছেন। বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে দলনের হাতিয়ারে পরিণত করে সরকার পুরো বিচারব্যবস্থাকে জনগণের বিরুদ্ধে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কার্যত সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকেই সরকার জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ’ আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
‘গোপন’ জায়গা থেকে বিবৃতি দিয়ে হরতাল-আবরোধের ঘোষণা প্রসঙ্গে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং তার নেতা-মন্ত্রীরা প্রায়ই তাচ্ছিল্যভরে বলে থাকেন, বিএনপি গোপন জায়গা থেকে বিবৃতি দিয়ে হরতাল-অবরোধ ঘোষণা দেয়। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হলো, ইন্টারনেটে ই-মেইলের মাধ্যমে সকল সময়ে যেভাবে দলীয় বিবৃতি-বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়ে থাকে, সেই একই প্রক্রিয়াতেই এখনো প্রদান করা হচ্ছে। ’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রকাশ্য রাজনীতির কোনো সুযোগ বিরোধী দলের জন্য উন্মুক্ত রাখেনি সরকার। ’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একচেটিয়া ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী লীগ এখন জঙ্গিবাদের ফেরিওয়ালা সেজেছে। আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে জঙ্গিবাদের দোসর সাব্যস্ত করার জন্য বিএনপিকে আইএস, আল কায়দা, তালেবান, বোকোহারাম, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি ইত্যাদির সঙ্গে তুলনা করার কোরাশ গাওয়া অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতা-মন্ত্রীরা। ’
‘ষড়যন্ত্রকারী অবৈধ সরকারের একের পর এক থলের বিড়াল বেরিয়ে যাচ্ছে’-এ মন্তব্য করে সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, ‘প্রতারণা, ভণ্ডামি ও খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য জনগণের লাশকে পুঁজি করে টিকে থাকার ঘৃণ্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গণ-আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানোর জঘন্য কসরত করছে। ’
একুশে টিভির সাংবাদিক কনক সরোয়ারের গ্রেপ্তার ও তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও তাঁর মুক্তি দাবি করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।
বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিসহ সব গণদাবি মেনে না নিলে ৮ মার্চ রোববার থেকে দেশব্যাপী হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি চলমান ‘শান্তিপূর্ণ অবরোধ’ অব্যাহত থাকবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।