প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আদালতের কার্যকারিতা থাকে না
আব্দুল মান্নান, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্য জনসভায় খালেদা জিয়ার দণ্ড ঘোষণা করেছেন। এর পরে আইন-আদালত, বিচারব্যবস্থার কোনো কার্যকারিতা থাকে না। তবু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা আইনিভাবেই মোকাবিলা করা হবে।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রতি ইঙ্গিত করে গতকাল শনিবার এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ওনার বিরুদ্ধে শুধু দুর্নীতির মামলা নয়, খুনের মামলাও দেওয়া হয়েছে। তিনি হুকুমের আসামি। কাজেই মানুষের রক্ত নিয়ে খেললে শাস্তি বাংলার মাটিতে হবেই হবে। একজন খুনির যে শাস্তি, তা তাঁকে পেতেই হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে সালাহ উদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড ঘোষণা করেছেন গতকালের প্রকাশ্য জনসভায় প্রধানমন্ত্রী। আইন-আদালত, বিচারব্যবস্থার কোনো কার্যকারিতা এর পরে আর অবশিষ্ট থাকে না। প্রধানমন্ত্রীর নিজের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ১৩টিরও অধিক মামলায় তাঁকে কোনো দিন হাজিরাও দিতে হয়নি, মোকাবিলাও করতে হয়নি; নিয়ন্ত্রিত বিচারব্যবস্থার কল্যাণে তাঁকে সব মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে দুদকের আওতাধীন সব অভিযোগ ও মামলায় দায়মুক্তি সনদ প্রদানের হিড়িক পড়েছে।
সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, শাসন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বিচারব্যবস্থায় আইনের শাসন কামনা করা যায় না। বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপের ফলে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ন্যায়বিচার প্রত্যাশা তিরোহিত হয়েছে অনেক আগেই। তার পরও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা মামলা’ আইনিভাবেই মোকাবিলা করা হবে।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সম্প্রতি ফেনীতে ছাত্রদল নেতা আরিফকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবা মফিজুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করে যৌথবাহিনী। কোনো অভিযোগ ছাড়াই গতকাল রাতে ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদারকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করা হয়নি। এতে তাঁরা উদ্বিগ্ন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তাঁকে আদালতে উপস্থাপনের দাবি জানানো হয়।