একদিন অবশ্যই বিশ্বকাপ জিতব
মনির হোসেন মিন্টু, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘ক্রিকেটে আমরা একদিন অবশ্যই বিশ্বকাপ জিতব।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মাঝে এ বছরের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ (এনএসটি) ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’ ও গবেষণা অনুদান দেওয়ার সময় এ আশার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাসসের।
বাংলাদেশের মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে ১৯৭১ সালের মতো সাহস ও শক্তির সঙ্গে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করবে বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ জাতির অগ্রগতি কেউই ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কিছু সমস্যার মোকাবিলা করছি। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। একটি অশুভ শক্তি অবরোধ ও হরতালের নামে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের যেকোনো বাধা অতিক্রম করার শক্তি ও সাহস রয়েছে।’ তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী একটি মহলের সমালোচনায় দুঃখ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমনকি বাংলাদেশ যখন টেস্ট ম্যাচে কোয়ালিফাই করেছিল তখনো তাঁরা আমাদের সমালোচনা করেছেন।’
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বাংলাদেশের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের খেলায় ভারতের তৃতীয় উইকেট পড়ার খবর আসার সঙ্গে দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালির মাঝে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জায়ান্ট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। আমরা একদিন অবশ্যই বিশ্বকাপ জিতব।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য দেশ ও বিদেশের ২২২ জনকে ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৬-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ এবং ২০১৪-২০১৫ সালের জন্য ১ হাজার ৩৪৩ শিক্ষার্থী ও গবেষককে এনএসটি ফেলোশিপ দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের ক্যাটাগরিতে ৭৩ শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট ৬২ সংস্থা এবং ৩৫টি বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অনুদান দেওয়া হয়। এর সঙ্গে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উৎসাহ দিতে ৩৩০ জন বিজ্ঞানী ও গবেষককে বিশেষ অনুদান দেওয়া হয়।
বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও জ্ঞান চর্চার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান সব কিছুর সঙ্গে সম্পর্কিত। বিজ্ঞানকে অবহেলা করে কেউই এগিয়ে যেতে পারে না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। ফেলোশিপ ও অনুদানপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের গবেষণা পরিচালনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের দরিদ্র জনগণের করে টাকায় ফেলোশিপ ও অনুদান দেওয়া হচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আপনারা জনগণের এই টাকার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবেন।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওই মন্ত্রণালয়ের সংসদের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রুহুল হক ও সচিব খন্দকার আসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।