স্মৃতিসৌধে যাননি খালেদা
মেহেদী আজাদ মাসুম, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে তাঁর দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
এর আগে গত একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাননি খালেদা জিয়া। গত ৩ জানুয়ারি রাত থেকে খালেদা জিয়া গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। ৫ জানুয়ারির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রথমে কয়েক দিন তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হলেও পরে নিজ থেকেই তিনি কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।
বিএনপির সূত্র জানায়, চলমান আন্দোলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়া তাঁর কার্যালয়ে থাকতে চান। তাদের আশঙ্কা ছিল, খালেদা জিয়া একবার কার্যালয় থেকে বের হলে তাঁকে আবার ওই কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ কারণে তিনি শহীদ মিনারে যাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। এবারও অনেকটা একই কারণে স্মৃতিসৌধে যাননি তিনি। তা ছাড়া বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিও চলছে। সাধারণত নিজেদের ডাকা হরতাল-অবরোধে খালেদা জিয়া বের হন না। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের সকালে স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
বিএনপির পক্ষ থেকে আজ সকালে স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ও আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখান থেকে ফিরে সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান নেতা-কর্মীরা। এ সময় কয়েকশ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তার পরও বিএনপি এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের মুক্তি, সভা-সমাবেশ এবং প্রচার-প্রচারণায় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বড় একটি উপাদান হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ফলে, দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে চলমান আন্দোলনকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়াই বিএনপির চ্যালেঞ্জ।