হেরোইনসহ আটক যুবলীগ ও কৃষক লীগ নেতাকে ছেড়ে দিল পুলিশ !
আজমী আনোয়ার, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, বগুড়াঃ হেরোইনসহ আটক যুবলীগ এবং কৃষক লীগের দুই নেতাকে মধ্যরাতে থানা থেকে বগুড়ার নন্দীগ্রামের পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আটক অপর দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে তারা।
পুলিশের দাবি, ছেড়ে দেওয়া দুই নেতার কাছে হেরোইন ছিল না। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মো. ফায়েজুর রহমানের ভাষ্য, গতকাল শনিবার রাত এগারোটার দিকে পুলিশ নন্দীগ্রাম পৌর শহরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ভেতর থেকে ওই চার নেতাকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাজাহান আলী, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আবু তাহের এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুলতান মাহমুদ ও রফিকুল ইসলাম। পরের দুজনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুজনের কাছে ২১ পুরিয়া হেরোইন পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি বলেন, চার নেতাকে হেরোইনসহ আটক করে নিয়ে আসার পরপরই উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা-কর্মীরা থানায় ছুটে যান। দেনদরবার শেষে মধ্যরাতে শাজাহান আলী ও আবু তাহেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ওই দুই নেতার সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তদবির করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, গত দুদিন ধরে তিনি ঢাকায় আছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নন্দীগ্রাম বাজারের একাধিক ব্যক্তি জানান, আজ বিকালেও তাঁকে নন্দীগ্রাম বাজারে দেখা গেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি আবু হায়দার মো. ফায়েজুর রহমানও। তিনি দাবি করেন, যে দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তাঁদের কাছে হেরোইন পাওয়া গেছে। বাকি দুজনের কাছে হেরোইন ছিল না। তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, হেরোইনসহ দুজনকে আটকের কথা জানিয়েছিলেন ওসি। চারজন আটক হলে কাউকে থানা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।